জি২০-তে পুটিন আসবেন না, শি-র আসা অনিশ্চিত
১ সেপ্টেম্বর ২০২৩আগামী ৯ এবং ১০ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে জি২০ দেশগুলির শীর্ষবৈঠক হবে। সেখানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন থেকে শুরু করে সদস্য, পর্যবেক্ষক ও আমন্ত্রিত দেশের শীর্ষনেতারা আসবেন।
তবে সেই বৈঠকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুটিন আসবেন না। ক্রেমলিন ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে, ব্রিকস বৈঠকেও পুটিন যাননি। তিনি ভিডিও-র মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন। গতবছরও তিনি ইন্দোনেশিয়ায় জি২০ বৈঠকে যোগ দেননি। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী লাভরভ এই বৈঠকে যোগ দেবেন।
সংবাদসংস্থা রয়টার্স সূত্রকে উদ্ধৃত করে জানাচ্ছে, চীনেরপ্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-ও জি২০ বৈঠকে অনিশ্চত।
রয়টার্সকে চীনে নিযুক্ত এক ভারতীয় কূটনীতিক এবং জি২০ দেশে কর্মরত আরেক ভারতীয় কূটনীতিক এই খবর দিয়ে বলেছেন, শি জিনপিংয়ের জায়গায় সেদেশের প্রধানমন্ত্রী লি কুইয়াং দিল্লিতে আসতে পারেন।
কিয়োদো জানিয়েছে, ৫ থেকে ৭ সেপ্টেম্বর জাকার্তায় পূর্ব ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় শীর্ষনেতাদের বৈঠকে যোগ দেবেন লি।
বালিতে শি ও বাইডেন দুজনেই গিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে বৈঠকও হয়েছে। এবারও দিল্লিতে তাদের মধ্যে বৈঠক হবে বলে আশা করা হচ্ছিল। বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে বাইডেন জানিয়েছেন, তিনি আশা করেন শি দিল্লি যাবেন।
শি-র সফর নিয়ে
শি দিল্লির জি২০ বৈঠকে যোগ দেবেন না, এমন কথা চীন আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি। ভারতের তরফ থেকেও তা সরকারিভাবে জানানো হয়নি।
তবে রয়টার্স জানাচ্ছে, চীনের দুই সরকারি কর্মকর্তা তাদের বলেছেন, শি-র পরিবর্তে লি যাবেন বলে তাদের কাছে খবর আছে। তাদের বলা হয়েছে, শি যাবেন না। তবে কেন তিনি যাবেন না, তা জানানো হয়নি।
তবে ভারতের কাছে জি২০ বৈঠক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, ভারত এখন বিশ্ব রাজনীতিতে গুরুত্ব পেতে চাইছে।
নিউ ইয়র্কের সাউথ এশিয়া ইনিশিয়েটিভ ও এশিয়া সোসাইটি পলিসি ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর ফারওয়া আমের জানিয়েছেন, শি যদি দিল্লি না যান, তাহলে বুঝতে হবে চীন ভারতকে জায়গা ছেড়ে দিতে রাজি নয়। চীন চায় না, ভারত দক্ষিণ এশিয়ার মুখ হয়ে উঠুক। জি২০-র সফল বৈঠক করে ভারত কোনো বাড়তি গুরুত্ব যেন না পায়।
পুটিন কেন আসছেন না
রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্টের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা আছে। রাশিয়া অবশ্য জানিয়েছে, এই পরোয়ানা অর্থহীন।
ইউক্রেন যুদ্ধের পর পুটিন কেবল বেলারুশ এবং প্রতিবেশী কিছু দেশে গেছেন। ইন্দোনেশিয়ায় জি২০ বৈঠকে তিনি যাননি। অন্য কোনো বৈঠকেও তিনি যাননি। ক্রেমলিনের মুখপাত্র জানিয়েছেন, বিদেশ সফর এখন পুটিনের কর্মসূচিতে নেই।
জিএইচ/এসজি (রয়টার্স, এপি)