1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রপ্তানি পড়েছে, কমেছে প্রবৃদ্ধি

১০ জানুয়ারি ২০১৩

জার্মানির রপ্তানি আর আমদানি, দু’টি ক্ষেত্রেই গত নভেম্বর মাসে বেশ ভালো রকম সংকোচন পরিলক্ষিত হয়েছে বলে সরকারি পরিসংখ্যানে প্রকাশ৷ তাহলে ইউরোপের বৃহত্তম অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির গতি কি কমতে চলেছে?

https://p.dw.com/p/17G1K
Wirtschaft; ESM; Finanzpolitik; EFSF; monetary policy; Eurokrise; Europäischer Stabilitätsmechanismus; economy; Symbolbild; euro crisis; Euro; currency; Illustration; European Union; European Stability Mechanism; Symbol; Europäische Finanzstabilisierungsfazilität; Finanzen; Merkel; finance; European Financial Stability Facility; Business; symbolic image; illustration; EBF; euro; Economy_Business_and_Finance
ছবি: picture-alliance/John Greve

জার্মান ফেডারেল পরিসংখ্যান দপ্তরের বিবরণ কিন্তু ঠিক তা বলে না৷ মাস থেকে মাসের বিচারে নভেম্বরে জার্মানির রপ্তানির পরিমাণ ৩ দশমিক ৪ শতাংশ কমে ঠিকই, কিন্তু সেটা সংকট পীড়িত ইউরো এলাকায় রপ্তানি ব্যাপকভাবে কমে যাওয়ার ফলে৷ আর তারও খানিকটা সামলে দেয় ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরে জার্মানির রপ্তানি ভালোমতো বাড়ার ফলে৷ চমকটা আসলে ছিল এই যে, জার্মানির আমদানি অক্টোবরে প্রায় তিন শতাংশ বাড়া সত্ত্বেও, নভেম্বরে সেটা ৩ দশমিক ৭ শতাংশ কমে যায়৷

RUESSELSHEIM, GERMANY - SEPTEMBER 22: Employees wheel in a cake decorated with the Opel logo at the Opel Insignia and Astra factory during a celebration marking Opel's 150th anniversary on September 22, 2012 in Ruesselsheim, Germany. The troubled carmaker, which has been owned by General Motors (GM) since the 1920s, is struggling to return to profits and reassert its brand imagery. (Photo by Sean Gallup/Getty Images)
বিএমডাবলিউ আর আউডি – অথবা আউডি-র মালিক ফোক্সভাগেন-এর ছছল-বছল অবস্থার ঠিক উল্টো চিত্রটি পাওয়া যাবে ওপেলের কথা ভাবলেছবি: Getty Images

তবে ইউরো এলাকায় জার্মানির রপ্তানি যে কমেছে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই৷ বছর থেকে বছরের হিসেব ধরলে, ২০১১ সালের নভেম্বরের তুলনায় ২০১২ সালের নভেম্বরে ইউরো এলাকার ১৭টি দেশে জার্মানির রপ্তানি কমে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ৷ কিন্তু সে'মাসে উদাহরণস্বরূপ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আর চীনে জার্মান রপ্তানির পরিমাণ বাড়ে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ৷ সব মিলিয়ে ২০১১ সালের নভেম্বরের তুলনায় ২০১২ সালের নভেম্বরে জার্মানির রপ্তানি প্রায় একই থাকে বলা চলে৷

কাজেই জার্মানির ট্রেড সারপ্লাস, বা রপ্তানি ও আমদানির ব্যবধান, অর্থাৎ বাণিজ্যিক বাড়তি বেড়েছে ঠিকই৷ সেটা ঐ আমদানি অপ্রত্যাশিতভাবে এক শতাংশের বেশি কমে যাওয়ার ফলে৷ নভেম্বর মাসে জার্মানির বাণিজ্যিক বাড়তি ছিল ১৭ বিলিয়ন ইউরো, মানে অক্টোবরের চেয়ে ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ইউরো বেশি৷ যদি আরো বড় আঙ্গিকে দেখতে চান, তাহলে পরিসংখ্যান দপ্তর বলছে, ২০১২ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর জার্মানি রপ্তানি করেছে এক ট্রিলিয়ন ইউরোর বেশি পণ্য; আমদানি করেছে ৮৪২ বিলিয়ন ইউরো মূল্যের পণ্য৷

জার্মানির জোরটা আসলে এই যে, বহির্বিশ্বে জার্মান পণ্যের কদর আর চাহিদা, দুটোই বেড়ে চলেছে৷ শুধু মোটরগাড়ির কথা ধরলেই চলে৷ ফেডারেল পরিসংখ্যান দপ্তর নয়, জার্মান গাড়িনির্মাতারাও নিয়মিত তাদের পরিসংখ্যান পেশ করে থাকে৷ সেই পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১২ সালে মিউনিখের বিএমডাব্লিউ সংস্থা চীনে রেকর্ড সংখ্যক গাড়ি বিক্রি করেছে৷ শুধু বিএমডাব্লিউ আর মিনি, এই দু'টি মিলিয়েই তারা চীনে গাড়ি বেচেছে ৩ লাখ ২৬ হাজারের বেশি৷ বলতে কি, এই প্রথম তারা চীনে তিন লাখের বেশি গাড়ি বিক্রি করল৷ ২০১২ সালটা বিএমডাব্লিউ-এর জন্য এমনিতেই ছিল একটা রেকর্ড৷ সারা বিশ্বে তারা গাড়ি বেচে ১৮ লাখের বেশি৷ ওদিকে জার্মানিতে কি বিশ্বের বাজারে তাদের জার্মান প্রতিদ্বন্দ্বী আউডি-ও চীনে গতবছর দারুণ ব্যবসা করেছে, এই প্রথমবার চীনে চার লাখের বেশি গাড়ি বেচেছে৷

বিএমডাবলিউ আর আউডি – অথবা আউডি-র মালিক ফোক্সভাগেন-এর ছছল-বছল অবস্থার ঠিক উল্টো চিত্রটি পাওয়া যাবে ওপেলের কথা ভাবলে ওপেলও জার্মান গাড়ির কোম্পানি, যদিও ওপেলের মালিক আজ মার্কিন জেনারেল মোটর্স৷ জার্মানিতে ওপেলের একাধিক কারখানা বন্ধ করার পরিকল্পনা জিএম-এর৷ এবার ধুয়ো উঠেছে, ফ্রান্সের পিউজো-সিট্রোয়েন সংস্থাকে নাকি ওপেল কেনার জন্য চাপ দিচ্ছে ফরাসি সরকার৷ পিউজো-সিট্রোয়েন-এর আবার জিএম-এর সঙ্গে কৌশলগত জোট, বিশেষ করে জিএম পিউজো-সিট্রোয়েন-এর সাত শতাংশ মালিকানা সংগ্রহ করার পর৷ ওপেল কেনার ফলে নাকি ফোক্সভাগেনের সঙ্গে পাল্লা দেওয়া সম্ভব হবে, এই হলো ফরাসি সরকারের পরিকল্পনা৷

এসি/ডিজি (ডিপিএ, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য