1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জামায়াতের প্রার্থীদের দিকে নজর রাখছে ভারত

২৮ ডিসেম্বর ২০১৮

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে আন্তর্জাতিক বিশ্বের নজর এখন বাংলাদেশের দিকে৷ ভারত নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে নির্বাচন পরিস্থিতি৷ জামায়াতের প্রার্থীদের দিকে বিশেষ নজর রাখছে দেশটি৷

https://p.dw.com/p/3AjqO
Bangladesch Protest gegen Justitia-Statue in Dhaka
ছবি: picture-alliance/Zumapress/S. Kanti Das

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতের প্রার্থীদের অংশগ্রহণের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে পর্যবেক্ষণ করছে ভারত সরকার৷ দেশটির প্রভাবশালী দৈনিক দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনে অধিকাংশ জামায়াত প্রার্থীর নির্বাচনি এলাকা ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে ৫০ থেকে ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে৷ প্রতিবেদনটিতে দাবি করা হয়, বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী ভারতীয় অঞ্চলের একটি গোষ্ঠী দীর্ঘদিন ধরেই জামায়াত নেতাদের সমর্থন দিয়ে আসছে বলে বাংলাদেশ সরকার ইতিমধ্যে জানিয়েছে৷ এ কারণে ভারতীয় সীমান্তবর্তী এলাকায় জামায়াত প্রাথীদের মনোয়ন দেয়ার বিষয়টি বেশ গুরুত্ব দিয়েই পর্যবেক্ষণ করছে দেশটির সরকার৷

বাংলদেশের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির সমর্থন নিয়ে জামায়াতে ইসলামীর ২৫ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে৷ প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে জামায়তে ইসলামীর ২৫ জন প্রার্থীর মধ্যে ২০ জনের নির্বাচনি এলাকাই পশ্চিমবঙ্গের খুব কাছাকাছি৷ বাকি ৫ জন প্রার্থীর মধ্যে দু'জন সিলেট থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন৷ সিলেট ভারতের আসামের কাছের একটি বিভাগ৷ জামায়াতের আর দু'জন প্রার্থী বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলা থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন৷ কুমিল্লা ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য সংলগ্ন৷ যুদ্ধাপরাধের দায়ে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত জামায়েতের কেন্দ্রীয় নেতা দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর ছেলে শামীম বিন সাঈদী বাংলাদেশের পিরোজপুর জেলা থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন৷ পিরোজপুর ভারতের কলকাতা থেকে ১৬০ কিলোমিটারের মধ্যে৷ সীমান্তের কাছাকাছি জামায়াত প্রার্থীদের নির্বাচনে অংশগ্রহণের ব্যাপারটিকে ভারত অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তাসংশ্লিষ্ট বলে বিবেচনা করে সতর্ক দৃষ্টি রাখছে বলেও প্রতিবেদনে দাবি করা হয়৷

এদিকে‘কেন বাংলাদেশের নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ'এই শিরোনামে গত ২২ ডিসেম্বর একটি মন্তব্য প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতের দৈনিক দ্য হিন্দু৷সেখানে ২০০৮ সালে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে রাজনৈতিক অস্থিরতা কমে এসেছিল উল্লেখ করে বলা হয়, বাংলাদেশে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন চায় ভারত৷ দেশটির গোয়েন্দা সংস্থার উদ্ধৃতি দিয়ে মন্তব্য প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় না থাকলে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের স্থিতিশীলতা বজায় রাখা অতটা সহজ হতো না৷

আরআর/এসিবি (টাইমস অফ ইন্ডিয়া, দ্য হিন্দু) 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান