জাপানী এনসেফালাইটিসে মারা যাচ্ছে ভারতীয় শিশুরা
১৭ অক্টোবর ২০১১উত্তর প্রদেশের গোরখপুর অঞ্চলেই এই রোগটির প্রকোপ সবচেয়ে বেশি বলে জানাচ্ছে ভারতের এনডিটিভি সহ বিভিন্ন সংবাদসংস্থা৷ তারা জানায়, গত বছরের থেকে জাপানী এই এনসেফেলাইটিসে আক্রান্ত হওয়া মানুষের সংখ্যা এ বছর প্রায় দ্বিগুণ৷ বিবিসি জানাচ্ছে, ইতিমধ্যেই গোরখপুরের সরকারি হাসপাতালে অন্ততপক্ষে ২,৩০০ জন শিশু এ রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে৷ তবে এ বছর সব মিলিয়ে এ রোগে আক্রান্ত হওয়া মানুষের সংখ্যা অন্ততপক্ষে ৪,৪৮০ বলে জানা গেছে৷
অন্যান্যা মশা বাহিত রোগের মতো এনসেফেলাইটিসের প্রকোপও সাধারণত বর্ষাকালেই বেশি৷ তাই অগাস্ট মাস নাগাদ এ রোগের ভ্যাকসিন আক্রান্ত এলাকগুলিতে পাঠানো হলেও, তার আগেই রোগের সংক্রমণ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে৷ ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে জানা যায় যে, জুন-জুলাই মাসের মধ্যে শত শত মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হয় এ বছর৷ স্বাভাবিকভাবেই, কেন্দ্রীয় সরকার ঠিক সময়ে এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেয় নি বলে অভিযোগ উঠে আসে বিভিন্ন মহল থেকে৷
উত্তর প্রদেশের বিআরডি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক কে পি কুশওয়াহা বলেন, ‘‘এতো বেশি রোগী আসছে এখানে যে, সবাইকে চিকিৎসা দিতে গেলে আমাদের আরও অর্থ দরকার৷'' তাই কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত আরো অর্থের ব্যবস্থা করা, দাবি ড. কুশওয়াহার৷
এদিকে, হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত গোরখপুর থেকে এই জাপানী এনসেফালাইটিস ছড়াচ্ছে ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামেও৷ এ পর্যন্ত সেখানে প্রায় ২ হাজার মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে৷ মারা গেছে কমপক্ষে ১১৪ জন৷ ভারতের অন্যতম শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ড. সাথি দত্ত সরকারকে অবিলম্বে এ রোগ প্রতিরোধে এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন৷
প্রতিবেদন: দেবারতি গুহ
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক