জনশূন্য দিঘায় শুরু বৃষ্টি, উত্তাল সমুদ্রে বড় বড় ঢেউ
সকাল থেকে বৃষ্টি পড়ছে। সমুদ্র উত্তাল। রাস্তাঘাট জনশূন্য, প্রশাসন সতর্ক, ঘূর্ণিঝড় দানা আসার আগে এটাই দিঘার ছবি।
সমুদ্রে বড় ঢেউ
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই দিঘায় টের পাওয়া যাচ্ছে দুর্যোগ আসছে। বৃষ্টি পড়ছে। সমুদ্র উত্তাল। আকাশ মেঘে ভরা। চারপাশ অন্ধকার করে আছে। পর্যটকে ভরা গমগমে শহরে কাউকে দেখা যাচ্ছে না। সমুদ্রের কাছে দাঁড়ালে দেখা যাচ্ছে বড় বড় ঢেউ উঠছে।
বৃষ্টি কখনো জোরে, কখনো আস্তে
সকাল থেকে সমানে বৃষ্টি পড়ছে। কখনো বৃষ্টির তেজ বাড়ছে। রীতিমতো জোরে বৃষ্টি পড়ছে। কখনো তা আস্তে হচ্ছে। তবে বৃষ্টি থামার কোনো লক্ষণ নেই।
সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া
বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়াও বইছে। ভয়ংকর জোরে নয়, তবে স্বাভাবিকের থেকে বেশ জোরে। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস বলছে, ঘূর্ণিঝড় দানা যত কাছে আসবে, ততই এই জোরে হাওয়া ঝড়ে পরিণত হবে। দানা যখন স্থলভাগে আছড়ে পড়বে, তখন ঘণ্টায় একশ কিলোমিটার বা তার বেশি জোরে ঝড় হতে পারে।
সতর্ক গ্রিন গার্ড
সমুদ্রের ধারে সতর্ক গ্রিন গার্ড। কেউ যেন সেখানে না যান। তবে দিঘায় পর্যটকদের ফেরত পাঠানো হয়েছে। বাসিন্দারা ঘরের ভিতরেই আছেন। জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত মানুষ এবং সাংবাদিক-চিত্র সাংবাদিক ছাড়া বাইরে বিশেষ কাউকে দেখা যাচ্ছে না।
বন্ধ দোকান, জনশূন্য রাস্তা
সব দোকান-পাট, রেস্তোরাঁ বন্ধ। রাস্তায় ঘাটে মানুষ নেই বললেই চলে। যে দিঘা সপ্তাহের সাতদিনই পর্যটকদের যাতায়াতে সরগরম থাকে, সেই দিঘার অন্য চেহারা। ঘূর্ণিঝড়ের আগের অভিজ্ঞতা থেকেও মানুষ সতর্ক।
জলে ডুবেছে মাঠ
সমুদ্রের কাছের জায়গার ছবি। বৃষ্টির ফলে ও সমুদ্রের জল বেড়ে গিয়ে অনেকটা জমি ডুবে গেছে। একটু দূরে দূরে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে কিছু ঝোপঝাড়।
সব নৌকা ঘরে ফেরে
সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা আছে। ঝড়ে মাছ ধরার নৌকার যাতে কোনো ক্ষতি না হয়, তার জন্য সেগুলি খুব ভালো করে বেঁধে রাখা হয়েছে।
কিছু নৌকা ভিতরে নিয়ে আসা হয়েছে
কিছু নৌকা সমুদ্রের কাছ থেকে কিছুটা ভিতরে নিয়ে আসা হয়েছে। যাতে সমুদ্র আরো উত্তাল হলে বা প্রবল ঝড় হলেও সেগুলি যাতে ঠিক থাকে।
আতঙ্কে সময় কাটছে
ওড়িশায় যে জায়গায় ঘূর্ণিঝড় দানার আছড়ে পড়ার কথা, সেখান থেকে দিঘার দূরত্ব খুব বেশি নয়। তাই দিঘার মানুষ আতঙ্কে আছেন। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, দানা শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। তার ক্ষতি করার ক্ষমতাও যথেষ্ট। তাই উদ্বেগে প্রহর কাটছে দিঘার মানুষদের।