ছাত্র বিক্ষোভ দমনে পুরনো আইনের প্রয়োগ থাইল্যান্ডে
২৫ নভেম্বর ২০২০আইন ছিল, কিন্তু তার ব্যবহার ছিল না। ছাত্র বিক্ষোভ থামাতে এ বার সেই শতাব্দীপ্রাচীন আগ্রাসী আইনের ব্যবহার শুরু করল থাইল্যান্ড সরকার। একের পর এক বিক্ষোভকারীকে শমন পাঠানো হচ্ছে। বলা হচ্ছে, রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে আন্দোলন করা আইনত দণ্ডনীয়। ছাত্ররা অবশ্য সরকারের এই নতুন আগ্রাসনে এতটুকু বিচলিত নয়। তারা জানিয়ে দিয়েছে, গ্রেপ্তার করেও তাদের আন্দোলন থামানো যাবে না।
গত প্রায় তিন বছর থাইল্যান্ডে আইনটির কোনো ব্যবহারই হয়নি। গত বেশ কিছু দশক ধরে এই আইনের কার্যত কোনো প্রয়োগ নেই থাইল্যান্ড। বহু যুগ আগে এই আইন তৈরি হয়েছিল। যাতে বলা হয়েছিল, রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে তাকে শাস্তি দেওয়া হবে। ১৫ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। কিন্তু গণতান্ত্রিক সরকার কখনোই এই আইনের সে ভাবে ব্যবহার করেনি।
গত কয়েক মাস ধরে তীব্র বিক্ষোভ চলছে ব্যাংককে। রাস্তায় নেমেছেন ছাত্ররা। তাঁদের দাবি, রাজতন্ত্রের ক্ষমতা কমাতে হবে। সংবিধান সংশোধন করতে হবে এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোটের মাধ্যমে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের কথাও তাঁরা বলছেন। এই দাবিগুলি নিয়ে গত কয়েক মাস ধরে রাজপথ দখল করেছেন ছাত্ররা। সরকার অবশ্য ছাত্রদের দাবি মানতে নারাজ। ছাত্র আন্দোলনের চাপে সংবিধান সংশোধনের সামান্য কিছু শর্ত মানলেও বিক্ষোভকারীদের সব কথা মানতে চাইছে না বর্তমান সরকার। ফলে প্রায় দিনই ব্যাংককের রাজপথে ছাত্র-পুলিশ সংঘর্ষ হচ্ছে। পুলিশের লাঠি এবং বুলেটের আঘাতে বহু ছাত্র আহত হয়েছেন। ছাত্রদের আক্রমণ করছেন রাজতন্ত্রপন্থীরাও।
এই পরিস্থিতিতে বিক্ষোভ থামাতে পুরনো আইনের প্রয়োগ শুরু করেছে প্রশাসন। বেশ কিছু ছাত্রের কাছে শমন গিয়েছে। যাতে বলা হয়েছে, রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এক আইনজীবীর কাছেও শমন গিয়েছে বলে ছাত্ররা জানিয়েছেন। তবে ছাত্রদের দাবি, এই ভাবে গ্রেপ্তার করার ভয় দেখিয়ে আন্দোলন দমানো যাবে না। দাবি না মেটা পর্যন্ত তাঁদের আন্দোলন চলবে।
এসজি/জিএইচ (রয়টার্স)