চীনের অর্থনীতির হাল ফেরাল করোনাই
৮ ডিসেম্বর ২০২০দ্রুত ধাক্কা সামলে নিতে পেরেছে চীন। করোনার ফলে লকডাউন ও বিদেশে রপ্তানি কার্যত বন্ধ হওয়ার ফলে চীনের অর্থনীতিতেও প্রবল ধাক্কা লাগে। কিন্তু সেই করোনার কল্যাণেই আবার সামলে উঠেছে চীন। বিদেশে ঢালাও পিপিই সহ স্বাস্থ্য সরঞ্জাম এবং ইলেকট্রনিক্সের জিনিস সরবরাহ করছে তারা। কারণ, করোনার ফলে সব দেশেই এই সব জিনিসের চাহিদা বহুগুণে বেড়েছে।
নভেম্বরে চীনের রপ্তানি ২১ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে। গত তিন বছরের মধ্যে সর্বাধিক। ফলে চীনের অর্থনীতির কাছে করোনা এখন নতুন সুযোগ এনে দিয়েছে। সব মিলিয়ে আমদানি বেড়েছে সাড়ে চার শতাংশ, বৈদেশিক বাণিজ্য বেড়েছে ১৩ দশমিক ছয় শতাংশ। ট্রেড সারপ্লাস সাত হাজার ৫৪০ কোটি ডলার। ১৯৮১ সালের পর থেকে এতটা লাভ কখনো হয়নি।
আসলে চীন দ্রুত করোনার মোকাবিলা করে তাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছে। কিন্তু বিশ্বের অন্য দেশগুলিতে তা হয়নি। বাকি সব দেশই এখনো করোনার মোকাবিলা করে যাচ্ছে। চীনের এই বাণিজ্যিক রমরমার কারণ, সব দেশেই মাস্ক, পিপিই, চিকিৎসা সরঞ্জাম ও ওষুধের চাহিদা বহুগুণ বেড়েছে। সেই সব জিনিস সরবরাহ করছে চীন। অধিকাংশ দেশেই মানুষ এখন ঘরবন্দি। তাই ইলেকট্রনিক্স জিনিসের চাহিদা অনেক বেড়েছে। ফলে চীনা কোম্পানিগুলির রমরমা। আর এই কোম্পানিগুলি সরকারের কাছ থেকে করোনার পরে প্রচুর অর্থ ঋণ হিসাবে পেয়েছে। ফলে তাদের ঘুরে দাঁড়ানো সহজ হয়েছে।
এর ফলে চীনের অর্থনীতি এ বার দুই শতাংশের বেশি বৃদ্ধি হবে বলে মনে করা হচ্ছে। বাকি সব দেশের অর্থনীতিতে বৃদ্ধি যখন নেতিবাচক, তখন চীন সেখানে ব্যতিক্রম হয়ে থাকবে।
তবে চীনের সঙ্গে অ্যামেরিকার বাণিজ্য সম্পর্ক এ বার কী দাঁড়াবে তা পরিষ্কার নয়। ডনাল্ড ট্রাম্প চীন-বিরোধী নীতি নিয়ে চলেছিলেন। বাইডেন এসে কি সেই নীতি বদলাবেন? মার্কিন-চীন সম্পর্কের ক্ষেত্রে এটাই এখন সব চেয়ে বড় প্রশ্ন।
জিএইচ/এসজি(এপি, রয়টার্স)