1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চিঠি দিয়েও ইরাক থেকে সৈন্য সরাচ্ছে না অ্যামেরিকা

৭ জানুয়ারি ২০২০

সোমবারই প্রকাশিত হয়েছিল অ্যামেরিকার চিঠি৷ যাতে বলা হয়েছিল ইরাক থেকে সরানো হবে মার্কিন সেনা৷ কিন্তু ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিবৃতি দিয়ে পেন্টাগন জানালো, ভুল করে ওই চিঠি দেওয়া হয়েছিল৷

https://p.dw.com/p/3Vnvy
ছবি: picture-alliance/Zuma/U.S. Army

ইরাকের পার্লামেন্ট চায় না৷ তাই সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হবে মার্কিন সৈন্য৷ চিঠি দিয়ে ইরাকি সামরিক বাহিনীকে এ কথা জানানোর পরে, পেন্টাগন ফের জানালো 'ভুল হয়ে গিয়েছে বিলকুল'৷ অর্থাৎ, ইরাক থেকে আপাতত সৈন্য সরানোর কোনও ভাবনাই অ্যামেরিকার নেই৷

বাগদাদে ইরানের জেনারেল কাসিম সোলেইমানের উপর ড্রোন হামলা চালিয়েছিল অ্যামেরিকা৷ নিহত হন সোলেইমান৷ তার পর থেকেই মধ্য প্রাচ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে৷ মার্কিনবিরোধী হাওয়া তৈরি হয়েছে গোটা অঞ্চলে৷ এমন পরিস্থিতিতে ইরাকের পার্লামেন্ট একটি প্রস্তাব গ্রহণ করে৷ যাতে বলা হয়, অ্যামেরিকাকে ৫২০০  সৈন্যকে ইরাকের মাটি থেকে সরিয়ে নিতে হবে৷ মনে রাখা দরকার, মধ্য প্রাচ্যে ইরাক অ্যামেরিকার একটি শক্ত ঘাঁটি৷ সাদ্দাম পরবর্তী সময়ে ইরাকে বেশ কিছু শক্ত সামরিক ঘাঁটি তৈরি করেছে অ্যামেরিকা৷ ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে লড়াইও করেছে ইরাক থেকেই৷ ইরাকের সরকারও অ্যামেরিকার মুখাপেক্ষী৷ ফলে ইরাকের মাটি ব্যবহার করে মধ্য প্রাচ্যে অ্যামেরিকা তার কূটনৈতিক অবস্থান শক্ত করেছে দীর্ঘদিন ধরে৷ কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সেই ইরাকও অ্যামেরিকার বিরুদ্ধে মুখ খুলেছে৷ যদিও ইরাকি পার্লামেন্টের প্রস্তাব এখনও সরকার গ্রহণ করেনি৷ সম্ভবত গ্রহণ করবেও না৷ কারণ, ইরাকে এই মুহূর্তে তদারকি সরকার ক্ষমতায়৷ যারা ভীষণ ভাবে অ্যামেরিকার উপর নির্ভরশীল৷

এমন অবস্থায়, সোমবার প্রকাশ পায় একটি চিঠি৷ যাতে দেখা যাচ্ছে ইরানের সামরিক প্রধানকে মার্কিন সামরিক বাহিনীর এক উচ্চপদস্থ অফিসার লিখেছেন, ইরাক সার্বভৌম দেশ এবং তাদের পার্লামেন্টকে অ্যামেরিকা গুরুত্ব দেয়৷ ফলে তাদের প্রস্তাব মেনে নিয়ে দিন কয়েকের মধ্যে মার্কিন সৈন্য সরানো হবে৷ তবে তাদের যাতে যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, সেটা সকলকেই দেখতে হবে৷

এই চিঠি প্রকাশ পাওয়ার পরেই মঙ্গলবার বিবৃতি জারি করে পেন্টাগন৷ তাতে বলা হয়, এই চিঠি ভুল করে দেওয়া হয়েছে৷ কী ভাবে এই ভুল হল, তা দেখা হচ্ছে৷ ইরাক থেকে মার্কিন সৈন্য সরানোর প্রশ্নই ওঠে না৷

কূটনৈতিক মহল অবশ্য প্রশ্ন তুলেছে, এত বড় ভুল কী ভাবে করল অ্যামেরিকা? এটা কি সত্যিই ভুল, না কি সিদ্ধান্ত বদলেছে পেন্টাগন৷ মধ্য প্রাচ্যের বর্তমান পরিস্থিতিতে এর প্রভাবই বা কী হবে? প্রশ্ন অনেক, উত্তর অজানা৷ উল্লেখ্য, অ্যামেরিকা সৈন্য না সরালেও জার্মানি সাময়িক সময়ের জন্য ইরাক থেকে শান্তি বাহিনী সরিয়ে নিচ্ছে৷

এসজি/জিএইচ(রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য