চারজনকে খুনের ভিডিও বার্তা প্রকাশ রোহিঙ্গা যুবকের
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২মো. হাশিম নামের এই রোহিঙ্গা যুবক নিজেকে ‘ইসলামী মাহাজ' নামের একটি সংগঠনের সদস্য বলে দাবি করেছেন৷ ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে হাশিমকে একটি অস্ত্র হাতে কথা বলতে দেখা যায়৷
ভিডিওতে তিনি বলেন, তার মতো ২৫ জন যুবককে অস্ত্র দিয়েছে ‘মাহাজ'৷ এরা মোটা অংকের টাকা দিয়ে হত্যার মিশন বাস্তবায়ন করে৷ হাশিমদের কাজ ছিল যারা প্রত্যাবাসন নিয়ে কাজ করে তাদের হত্যা করা৷
কয়েকদিনের মধ্যেই তারা তিন মাঝিসহ (কমিউনিটি নেতা) কয়েকজনকে হত্যা করেন বলে ভিডিওতে জানান হাশিম৷ ওই ভিডিওতে তারা যাদের খুন করেছেন তাদের নাম বলেছেন৷ এরা হলেন ১৮ নম্বর ক্যাম্পের হেড মাঝি জাফর, ৭ নম্বর ক্যাম্পের ইসমাঈল, কুতুপালং এক্সটেনশন ক্যাম্প-৪ এইচ ব্লকের এরশাদ ও হেড মাঝি আজিমুল্লাহ৷
ভিডিওতে তিনি ‘মাহাজ'-এর চার নেতার নামও বলেন৷ তারা হলেন সাহাব উদ্দিন, রহমত উল্লাহ, হেড মাঝি ভুইয়া ও মৌলভী রফিক৷ সামনে আরও বড় মিশন ছিল উল্লেখ করে হাশিম বলেন, নিজের ভুল বুঝতে পেরেছেন৷ তাই এই খারাপ জগৎ ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চান৷
এ ব্যাপারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দায়িত্বরত ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, হাশিমের তথ্য নানাভাবে যাচাই করে প্রাথমিকভাবে সঠিক নয় বলে ধারণা করা হচ্ছে৷ তিনি প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বা কারও প্ররোচনায় এই প্রচার চালিয়েছেন৷ তারপরও তার বক্তব্য গুরুত্ব দিয়ে যাচাই করা হচ্ছে৷
তাকে আইনের আওতায় এনে রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চলছে উল্লেখ করে ফারুক জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১৮ তে হাশিমের ঠিকানায় গিয়ে তার স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে তার নাম-ঠিকানা সঠিক পাওয়া গেছে৷ হাশিম কয়েক মাস ধরে তার জন্য ঠিকানার বাইরে থাকছেন৷
‘‘ভিডিওতে এই যুবক যাদের নাম উল্লেখ করেছে তদন্ত সাপেক্ষ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷ এছাড়া ক্যাম্পের নিরাপত্তার জন্য আমরা সবসময় সজাগ রয়েছি৷''
এপিবি/কেএম (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)