‘রক্তকরবী’
১৩ জুলাই ২০১২এ উপলক্ষ্যে দলটি দু’দিনের সাহিত্য-সাংস্কৃতিক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে৷
কর্মসূচিতে রয়েছে আলোচনা, রবীন্দ্র সংগীত ও আবৃত্তি, নাট্যকর্মী সম্মেলন, নাটকের কলা-কুশলীদের শুভেচ্ছা-স্মারক প্রদান এবং প্রদর্শনী৷ আহমেদ ইকবাল হায়দার নির্দেশিত ‘রক্তকরবী' নাটকের প্রথম মঞ্চায়ন হয় ১৯৯৬ সালের ১২ অক্টোবর চট্টগ্রামের স্টুডিও থিয়েটার হলে৷
ডিডাব্লিউ এর সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্ব আহমেদ ইকবাল হায়দার বলেন, ‘‘আমরা তীর্যক নাট্য দল দীর্ঘদিন থেকে রবীন্দ্র চর্চা করে যাচ্ছি৷ আমরা এর আগে বিসর্জন নাটক করেছি৷ গত বছরের ডিসেম্বর মাসে আমাদের ‘বিসর্জন' নাটকের ২০০তম মঞ্চায়ন হয়৷ পাশাপাশি ‘রক্তকরবী'ও চলেছে৷ এছাড়া আমরা রবীন্দ্রনাথের ‘ডাকঘর' করেছি৷ সেটার প্রায় ৬৫তম মঞ্চায়ন হয়েছে৷ ‘রথযাত্রা'র ১৩২তম মঞ্চায়ন হয়েছে৷ ফলে তারই ধারাবাহিকতায় আজ ‘রক্তকরবী'ও শততম মঞ্চায়নের পর্যায়ে পৌঁছল৷''
তীর্যক নাট্য দলের পথচলা এবং কর্মকাণ্ড সম্পর্কে হায়দার বলেন, ‘‘১৯৭৪ সালের ১৬ই মে তীর্যক নাট্য দল প্রতিষ্ঠিত হয়৷ শুরুর দিকে আমরা নিজস্ব নাট্যকারদের নিয়ে কাজ করি৷ পরবর্তীতে আমরা বিভিন্ন বিখ্যাত নাট্যকারদের নাটক নিয়ে কাজ করেছি৷ ১৯৯৩ সাল থেকে আমরা রবীন্দ্র চর্চায় চলে আসি৷''
বর্তমানে যে হারে টেলিভিশন চ্যানেলের সংখ্যা বাড়ছে, তার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশে মঞ্চনাটকের চাহিদা ও জনপ্রিয়তার উপর এর সম্ভাব্য প্রভাব সম্পর্কে তাঁর মন্তব্য, আসলে টিভি চ্যানেলগুলো তারকা নির্ভর৷ অন্যদিকে, মঞ্চনাটক কিন্তু তারকা নির্ভর নয়৷ আমাদের যারা তারকা হয়ে যায়, তাদের অধিকাংশই মঞ্চ থেকে দূরে সরে যায়৷ কিন্তু বর্তমানে টিভি চ্যানেলগুলোতে ভালো নাটকের যে আকাল চলছে, কিংবা বলা যায় গতানুগতিক ধারার নাটক চলছে, সেখানে তারা নতুনত্ব আনতে পারে এবং দর্শক টানতে পারবে, যদি তারা মঞ্চনাটক অন্যভাবে ধারণ করে এবং সম্প্রচার করে৷ তবে এখনও তেমন হচ্ছে না৷ আমি মনে করি, মঞ্চনাটককে যদি তুলে ধরা হয়, সেটা সামগ্রিকভাবে চলচ্চিত্রে কিংবা টেলিভিশনে হতে পারে, সেক্ষেত্রে অভিনয় এবং আনুষঙ্গিক দিকগুলো আরো শক্তিশালী হবে এবং আরো জনপ্রিয় হবে৷''
প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই
সম্পাদনা: জাহিদুল হক