রৌদ্রস্নান
২৬ ডিসেম্বর ২০১২প্রতি বছর হাজার হাজার সংগীত ও বিনোদন মনস্ক মানুষ হাজির হন গোয়ার সমুদ্র সৈকতে গান-বাজনার এই উৎসবে৷ কিন্তু তিন দিনের এই মহোৎসব শেষে যখন পর্যটকের দল এবং আমুদে মানুষগুলো সতেজ মন নিয়ে ঘরে ফিরে যান, তখন তাঁদের ফেলে আসা আবর্জনার স্তূপ সমুদ্র সৈকতের নির্মল পরিবেশকে খুব দুঃখ ভারাক্রান্ত করে তোলে৷ বিগত বছরগুলোর এমন তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে এবার এই উৎসবের আয়োজকদের সিদ্ধান্ত, শুধু নিজের জন্য আনন্দ ও বিনোদন নয়, বরং একইসাথে পরিবেশকেও খুশি করতে হবে৷ পরিবেশের সুখ আর পরিচ্ছন্নতা নষ্ট করলে চলবে না৷
তাই এবারের উৎসবে হাজির কেউ তাঁদের ব্যবহৃত খাদ্য সামগ্রীর উচ্ছিষ্ট কিংবা বর্জ্য পদার্থ যথেচ্ছা ফেলে আসতে পারবেন না৷ এবারের উৎসবকে পরিবেশ বান্ধব করে তুলতে ‘উডল্যান্ড' নামক সংগঠনের সহযোগিতা নিচ্ছেন আয়োজকরা৷ জানা গেছে, এবারের উৎসবে ২৫ ফুট উঁচু এবং ২৫ ফুট প্রশস্ত বড়সড় মঞ্চের উপর প্রদর্শন করা হবে উডল্যান্ড-এর পরিবেশ বান্ধব ‘প্রোপ্ল্যানেট' উদ্যোগের নানা ধারণা ও সামগ্রী৷
উডল্যান্ড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হরকিরাত সিং বলেন, ‘‘গোয়ায় এবারের ষষ্ঠ রৌদ্রস্নান সংগীত উৎসবে পরিবেশ বান্ধব জীবনচক্র গড়ে তোলার ক্ষেত্রে উৎসাহ দিতে নানা আয়োজনা রাখা হয়েছে৷ প্রকৃতির প্রতি মমতা এবং পরিবেশ রক্ষায় নতুন প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করার মধ্য দিয়ে এই সংগীত আসরকে এশিয়ার সবচেয়ে পরিবেশ বান্ধব একটি উৎসবে পরিণত করতে চাই আমরা৷''
এ লক্ষ্যে উৎসব স্থলে থাকছে আবর্জনা ও বর্জ্য পদার্থ দিয়ে তৈরি কিছু শিল্প প্রদর্শনী, পরিবেশ বান্ধব চিত্রকর্ম এবং স্বেচ্ছাসেবীদের ‘লিভ নো ট্রেস' অর্থাৎ ‘বর্জ্য ফেলে যেও না' শীর্ষক প্রচারাভিযান৷ এর মধ্য দিয়ে এই উৎসবের আয়োজনকারীরা এবার উপহার দিতে চান ‘স্মৃতিময় কিন্তু বর্জ্যহীন সৈকত'৷
এএইচ/ডিজি (পিটিআই)