1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গাজায় হামাস ও ফাতাহ গোষ্ঠীর মাঝে নতুন সংঘর্ষ৷ নিহত সাত

আবদুস সাত্তার১ জানুয়ারি ২০০৮

প্যালেস্টাইনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেছেন, তিনি উগ্রপন্থী হামাস গোষ্ঠীর সাথে একটি নতুন অধ্যায় শুরু করতে প্রস্তুত যদি তারা গাজা ভূ-খন্ডের ওপর থেকে তাদের নিয়ন্ত্রণ পরিত্যাগ করে৷ তবে এর পরে পরেই গাজার দক্ষিণাঞ্চলে হিংসাত্মক তত্ পরতা শুরু হয়ে যায় - যাতে কমপক্ষে সাতজন প্যালেস্ট

https://p.dw.com/p/DPhB
ছবি: AP Photo/Hatem Moussa

��ইনী নিহত হয়৷

প্যালেস্টাইনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস পশ্চিম তীরে তাঁর রামাল্লাহ সদর দফতরে দেয়া এক ভাষণে আবারো আহ্বান জানান প্যালেস্টাইনী ঐক্যের৷ তিনি উগ্রপন্থী হামাস গোষ্ঠীর সঙ্গে ঐক্যের আহ্বান জানালেন বছরের শেষে৷ উল্লেখ্য যে, বিদায়ী দুই হাজার সাত সালে হামাস ও ফাতাহ গোষ্ঠী তাদের ইতিহাসে আগের যে কোন সময়ের তুলনায় ছিল বেশি বিভক্ত৷ আব্বাস বলেন, তিনি ইসলামি হামাস গোষ্ঠীর সঙ্গে আলোচনা শুরু করতে প্রস্তুত -যদি তারা গাজার নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দেয় তাঁর অধীনে৷ আব্বাস এ কথা বলেন, তাঁর গোষ্ঠী ফাতাহ এর কর্মকর্তাদের যারা রামাল্লায় সমবেত হয়েছিলেন ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গোষ্ঠীর সশস্ত্র সংগ্রামের ৪৩তম বার্ষিকী উপলক্ষে৷ তিনি বলেন, দুই গোষ্ঠীর মাঝে সংঘর্ষ নয় সংলাপ চালিয়ে যেতে হবে- যা অত্যন্ত জরুরি৷

হামাস গোষ্ঠী আব্বাস এর আহ্বানে সাড়া দিয়ে বলেছে তারা আলোচনায় বসতে প্রস্তুত তবে এর জন্য কোন পূর্ব-শর্তে রাজী নয়৷ হামাস এর উর্ধতন একজন কর্মকর্তা মাহমুদ জাহার গাজা শহরে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সংলাপ অনুষ্ঠানের জন্য প্রেসিডেন্ট আব্বাসের প্রস্তাবকে আমরা স্বাগত জানাই তবে এর সাথে কোন পূর্ব-শর্ত যদি জুড়ে দেয়া হয় তাহলে তা হবে আমাদের কাছে অগ্রহণযোগ্য৷

ওদিকে হামাস গোষ্ঠীর সঙ্গে সংলাপ অনুষ্ঠানে প্যালেস্টাইনী প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের প্রস্তাব দেয়ার ঠিক পরেই হামাস ও ফাতাহ এর মধ্যে সংঘর্ষ বাধে খান ইউনিস শহরে একটি সমাবেশের পর৷ সে সময় কমপক্ষে সাতজন প্যালেস্টাইনী নিহত হয়৷ ঘণবসতিপূর্ণ এই এলাকার সংঘর্ষে আহত হয় আরো ৪৫ জন৷ উল্লেখ্য যে, এখানেই ইসলামি আন্দোলন হামাস দুই হাজার সাত সালের জুন মাসে ক্ষমতা গ্রহণ করে সপ্তাহব্যাপী প্রচন্ড লড়াই এর পর আব্বাসের অনুগত ফাতাহ নেতৃত্বাধীন বাহিনীকে পরাজিত করে৷

ফাতাহ গোষ্ঠীর একজন মুখপাত্র রামাল্লায় বলেন, গত সোমবারের হত্যাকান্ড থেকে এই প্রমাণই পাওয়া গেল যে, হামাস সংলাপে আগ্রহী নয় যে সংলাপের প্রস্তাব দিয়েছেন ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস৷