1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিইসরায়েল

গাজায় চারদিনের যুদ্ধবিরতি শুরু হলো

২৪ নভেম্বর ২০২৩

গাজায় চারদিনের যুদ্ধবিরতি শুরু হলো। শুক্রবারই ১৩ জন পণবন্দিকে মুক্তি দেয়ার কথা। ইসরায়েল বলেছে, ফিলিস্তিনিরা যেন উত্তর গাজায় না যান।

https://p.dw.com/p/4ZNzJ
গাজায় অভিযানে অংশ নেয়া ইসরায়েলের একটি ট্যাংক
ইসরায়েল-হামাস সংঘাতে কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে উত্তর গাজাছবি: Ronen Zvulun/Reuters

হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যে সমঝোতা আগেই হয়েছিল। কাতার , মিশর এবং অ্যামেরিকার মধ্যস্থতায় সেই সমঝোতায় ঠিক হয়েছিল, শুক্রবার থেকে চারদিন  লড়াই বন্ধ থাকবে। সে সময় হামাস ৫০ জন পণবন্দিকে মুক্তি দেবে। গত ৭ অক্টোবর হামাস যাদের ইসরায়েল থেকে পণবন্দি করেছিল, তাদের থেকেই ৫০ জনকে মুক্তি দেওয়া হবে। অন্যদিকে ইসরায়েলও বেশ কিছু ফিলিস্তিনি জেলবন্দিকে মুক্তি দেবে।

সেইমতো শুক্রবার থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে।  স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় ১৩ জন পণবন্দিকে মুক্তি দেয়ার কথা আছে। 

ইসরায়েলের সেনা জানিয়েছে, ফিলিস্তিনিরা যেন যুদ্ধবিরতিতে উত্তর গাজায় না যান। কারণ, যুদ্ধ শেষ হয়নি। তাতে সাময়িক বিরতি দেয়া হয়েছে মাত্র। তাই নিজেদের নিরাপত্তার কথা ভেবে তারা যুদ্ধক্ষেত্রের দিকে না যান। 

যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর মিশর থেকে রাফাহ সীমান্ত দিয়ে ত্রাণসামগ্রী নিয়ে ট্রাক ঢুকতে শুরু করেছে। মিশর জানিয়েছে, প্রতিদিন দুইশটি ট্রাক ঢুকবে। এক লাখ ৩০ হাজার টন ডিজেলও নিয়ে যাওয়া হবে। যুদ্ধের আগে দিনে পাঁচশ ট্রাক গাজায় ঢুকত। 

কাতার জানিয়েছে, এদিন স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে লড়াই বন্ধ থাকবে। প্রথম পণবন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে বিকেল ৪টা নাগাদ। তার মাঝে গাজার মানুষের জন্য মানবিক ত্রাণও নিয়ে যাওয়া হবে।

তবে শুক্রবারের এই বিরতি সাময়িক বলে জানিয়ে দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এবং সামরিক প্রধান। সামরিক মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ''একটা লম্বা লড়াইয়ের মাঝে সামান্য বিরতি।'' তার বক্তব্য, উত্তর গাজায় আধিপত্য কায়েম করা এই লড়াইয়ের প্রথম পদক্ষেপ বলা যেতে পারে। এখনো অনেক লড়াই বাকি আছে। তিনি জানিয়েছেন, পরবর্তী লড়াইয়ের পরিকল্পনা শুরু হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যেই পরবর্তী ধাপের লড়াই শুরু হবে।

দ্য টাইমস অফ ইসরায়েল পত্রিকায় দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, আরো অন্তত দুই মাস লড়াই চলবে। পত্রিকাটি জানিয়েছে, প্রতিরক্ষামন্ত্রী দেশের সেনা বাহিনীকে পরবর্তী ধাপের লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুতি নিতে বলেছেন। নতুন করে অস্ত্রের জোগান দেওয়ার কথাও বলেছেন। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, ''লড়াই চলবে কারণ, বাকি পণবন্দিদের মুক্ত করতে হবে। হামাসের উপর চাপ তৈরি না করলে সে কাজ সম্ভব হবে না।'' শুধু তা-ই নয়, তিনি জানিয়েছেন, যে কাজ শুরু হয়েছে, তা শেষ করতে হবে। অর্থাৎ, গাজা স্ট্রিপে ইসরায়েলের ক্ষমতা সম্পূর্ণভাবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

আল-শিফা হাসপাতালের প্রধান আটক

ইসরায়েল জানিয়েছে, আল-শিফা হাসপাতালের প্রধানকে জিজ্ঞআসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। অভিযোগ, তিনি হাসপাতালের ভিতর হামাসকে দপ্তর বানানোর জায়গা করে দিয়েছিলেন। ইসরায়েল জানিয়েছে, আল-শিফা হাসপাতালের নিচে হামাস তাদের দপ্তর তৈরি করেছিল। মাটির তলার সেই দপ্তর থেকেই তারা লড়াই পরিচালনা করছিল। প্রমাণ হিসেবে ইসরায়েল বেশ কিছু ছবিও প্রকাশ করেছে। যদিও হামাস এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। হামাসের পাল্টা অভিযোগ, ইসরায়েল হাসপাতালেও আক্রমণ চালিয়েছে। যার জেরে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

বাইডেনের বক্তব্য

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন, তিনি ফিঙ্গার ক্রস করে রেখেছেন। শুক্রবার বাকি পণবন্দিদের সঙ্গে এক ৩ বছরের ইসরায়েলি-মার্কিন শিশুকে মুক্তি দেবে ইসরায়েল। ৭ অক্টোবর তাকেও তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। বাইডেন এদিন জানিয়েছেন, সমস্ত পণবন্দিকে মুক্ত করা অ্যামেরিকা দায়িত্ব বলে মনে করে।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি)