গাজ়া হামাস আয়োজিত মানববন্ধনে যোগ দিল প্রায় ৫ হাজার ফিলিস্তিনি
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৮্তবে তার চেয়ে অনেক কম মানুষ, প্রায় হাজার পাঁচেক এতে অংশ নেয়৷
এই মানববন্ধন সম্পর্কে হামাস নেতা সামি-আবু-জুহরি বলেন যে এই মানববন্ধন, ইসরায়েল এবং অন্যান্য পক্ষগুলির জন্য একটি সতর্কবার্তা যে, গাজ়া এখন একটা বিস্ফোরণ উন্মুখ বোমায় পরিণত হয়েছে এবং অবরোধ তুলে না নিলে যে কোনো সময় তার বিস্ফোরণ ঘটতে পারে৷
গত বছরের জুন মাসে, প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের অনুগত বাহিনীকি হটিয়ে, ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসের যোদ্ধারা গাজ়া উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ নেয়৷ সেই থেকে গাজ়া উপত্যকায়, ইসরায়েল তাদের অবরোধ অব্যাহত রেখেছে৷ এমনি এক প্রেক্ষাপটে, গত মাসে হামাস, গাজ়া উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলীয় মিসর সীমান্তের প্রাচীর ভেঙ্গে ফেলে এবং তখন ওই পথ দিয়েই, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস সংগ্রহ করতে, হাজার হাজার ফিলিস্তিনি মিশরে প্রবেশ করে৷
এদিকে, বিক্ষোভ-সমাবেশ চলাকালে, ফিলিস্তিনিরা গাজ়া সীমান্ত ভেঙে, ইসরায়েলি ভূখণ্ডে ঢুকে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা জানিয়ে ইসরায়েল, সমস্ত শক্তি প্রয়োগের হুমকি দিয়েছিল৷ গাজ়া উপত্যকার সীমান্তের প্রায় চল্লিশ কিলোমিটার ধরে, সেনা এবং আধা-সামরিক বাহিনী প্রস্তুত রাখাও হয়েছিল৷ তবে, সমাবেশকে শান্তিপূর্ণ রাখতে তারা হামাসকে আহ্বান জানালে, হামাস ও তাদের এক মিত্র সংগঠন জানায় যে, ইসরায়েলি সীমান্তে প্রাচীর ভেঙ্গে ফেলার কোনো ইচ্ছা তাদের নেই৷
অনেকে, হামাস আয়োজিত এহেন মানববন্ধন নজির-বিহীন বলে মন্তব্য করলেও, গাজ়ার রাজনৈতিক পরিস্থিতির যাবতীয় ব্যর্থতাকে নশ্বাত্ প্রমাণ করতে, হামাসের গতকালের শান্তি-মিছিল ছিল যেন কিস্তির চাল৷ কারণ, সাম্প্রতিতে, গাজ়ার রাফা তথা অন্যতম প্রধান শরনার্থী শিবিরসহ অন্তত ৮-টি শিবিরে হামাস এবং প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের ফাতাহ সমর্থকদের ক্রমবর্ধমান সংঘর্ষ, হামাসের ভাবমূর্তীকে আন্তর্জাতিক মহলে, যেভাবে ক্রমশ ছিন্ন-ভিন্ন করে দিচ্ছে এবং মিডিয়াতে হামাসের সম্পর্কে যখন জঙ্গী-সংগঠন ছাড়া আর কোন অবিধাই ব্যবহৃত হচ্ছে না, একরম একটা ক্ষরার সময়, আবার নিজেদের সমাজসেবী ভাবমূর্তী জাগিয়ে তুলতে হামাস যেন ঝাঁপিয়ে পড়েছে সর্ব শক্তি নিয়ে৷