গণবিয়েতে যা দেখা গেল
বহুদিনের প্রথা৷ দক্ষিণ কোরিয়ার এক গির্জার উদ্যোগে প্রতিবছর এক নির্দিষ্ট দিনে হাজারো নারী-পুরুষ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন৷ এই প্রথা নিয়ে রয়েছে বিতর্কও৷
বিতর্কিত গণবিয়ে
দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সৌলের কাছে ইউনিফিকেশন চার্চে গত সোমবার এক হাজার দম্পতি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন৷ সেই সময় সেখানে হাজির ছিলেন আরো কয়েক হাজার দম্পতি৷ তবে এই চার্চের কর্মকাণ্ড নিয়ে রয়েছে বিতর্ক৷
না দেখেই বিয়ে
সান মিং মুন নামে এক ব্যক্তি ১৯৫৪ সালে প্রতিষ্ঠিত চার্চটির উদ্যোক্তা৷ সেখানে বিয়ের বিষয়াদি তিনিই দেখভাল করতেন৷ অর্থাৎ কোন পুরুষের সঙ্গে কোন নারীর বিয়ে হবে, সেটা তিনি ঠিক করে দিতেন৷ আগে কখনো দেখা হয়নি, এমনকি একই ভাষা বলেন না এমন নারী-পুরুষের মধ্যেও বিয়ের আয়োজন করতেন তিনি৷
সেকেলে প্রথা
সান মুন নিজেকে এবং তাঁর স্ত্রীকে অবতার ঘোষণা করেছিলেন৷ তাঁর এই বিয়ে আয়োজনকে এখন কেউ কেউ সেকেলে মনে করেন, কেননা, একেবারে অপরিচিত মানুষদের মধ্যে এমন বিয়ে কতটা যৌক্তিক, তা নিয়েও রয়েছে বিতর্ক৷
তবে অনুসারী অনেক
অপরিচিতদের মধ্যে বিয়ে পড়ানোটা অনেকের অপছন্দ হলেও সান মিং মুনের অনেক ভক্ত এখনো রয়ে গেছেন৷ ফলে, সোমবার বিশ্বের নানা দেশ থেকে নারী-পুরুষ চার্চে এসে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন৷ ২০১২ সালে মুনের মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রী হাক জা হান মুন এখন বিয়ের আয়োজন করছেন৷
সময় বদলাচ্ছে
এবার গণবিয়েতে অংশ নেয়া ইয়াসমিন লুমিবাও জানান, ২৫ বছর আগে যখন এই চার্চে তাঁর বাবা-মায়ের বিয়ে হয়, তখন তাঁরা একে অপরের কাছে একেবারেই অপরিচিত ছিলেন৷ তবে লুমিবাও তাঁর জীবনসাথীর সঙ্গে আগেই পরিচিত হয়েছেন৷ এরপর সোমবার চার্চে বিয়েতে সায় দেন৷
বিয়ের আসরেও প্রযুক্তি
স্মার্টফোনের জগতে এখন এক পরিচিত নাম দক্ষিণ কোরিয়া৷ সেদেশের অনুষ্ঠানে তাই স্মার্টফোনের ব্যবহার থাকবে, এটা বোঝাই যায়৷ কিন্তু, তাই বলে বিয়ের আসরের গুরুত্বপূর্ণ আলাপন বাদ দিয়ে এক দম্পতি স্মার্টফোন নিয়ে এমন ব্যস্ত থাকবেন, এটা বোধহয় কেউ প্রত্যাশা করেনি৷