খেলুন আর পয়সা কামান

শিরোপা না জিতেও অ্যামেরিকান ফুটবলের শীর্ষ তারকারা প্রচুর অর্থ আয় করেন৷ এই যেমন ম্যাথ্যু স্টাফোর্ড তাঁর দল ডেট্রয়েট লায়ন্সকে সুপারবোল জেতাতে পারেননি৷ কিন্তু এই ৩০ বছর বয়সি কোয়ার্টার ব্যাকের বার্ষিক বেতন ৫ কোটি ৭ লাখ ইউরো৷

আটলান্টা ফ্যালকন্সের ম্যাট রায়ানও একজন কোয়ার্টার ব্যাক৷ তিনিও তাঁর দলকে সুপারবোল জেতাতে পারেননি৷ কিন্তু গত বছর তাঁর বেতন ছিল ৫ কোটি ৭৪ লাখ ইউরো৷ মজার ব্যাপার হলো, সুপারবোল শিরোপা জেতা তারকা নিক ফোলেস ও টম ব্র্যাডির মতো তারকার নাম সেরা একশ’তেও নেই৷

অ্যামেরিকান বাস্কেটবল খেলোয়াড়দের যে দু’জন সেরা দশের তালিকায় জায়গা পেয়েছেন, তাঁদের একজন এই গোল্ডেন স্টেট ওয়ারিয়র্স তারকা৷ থ্রোয়িংয়ের এই জাদুকরের বার্ষিক বেতন ৬ কোটি ৫৬ লাখ ইউরো৷

আগের বছর তালিকা থেকে ঝরে পড়েছিলেন সুইস টেনিস তারকা৷ কিন্তু দু’টো গ্র্যান্ড স্লাম ও সাতটি টুর্নামেন্ট বিজয় তাঁকে ২০১৭ সালে ফিরিয়ে এনেছে সেরা দশ আয়কারীদের তালিকায়৷ এ বছর তিনি জিতেছেন ৬ কোটি ৬৮ লাখ ইউরো৷

তাঁর সমর্থকরা তাঁকে ‘কিং জেমস’ বলে ডাকতেন৷ বাস্কেটবলের এই মহাতারকা তিনটি চ্যাম্পিয়নশিপ ও চারটি এমভিপি শিরোপা জিতেছেন৷ নাইকির সঙ্গে তাঁর আজীবনের জন্য বিজ্ঞাপন চুক্তিও করা আছে৷ সব মিলিয়ে বছরে ৭ কোটি ২৯ লাখ ইউরো আয় করেন তিনি৷

ফুটবলের দুনিয়ায় এখনো যেন রোনাল্ডো ও মেসির ছায়া হয়ে আছেন নেইমার৷ যদিও তাঁর ২২২ মিলিয়ন ইউরো ট্রান্সফার তাঁকে সর্বকালের সবচেয়ে দামি খেলোয়াড়ের তকমা দিয়েছে, তাঁর বার্ষিক আয় এখনো মেসি-রোনাল্ডোদের চেয়ে কম, বছরে ৭ কোটি ৬৭ লাখ ইউরো৷

কনর ম্যাকগ্রেগর কে? মার্শাল আর্টের মিশ্র কৌশলের একজন ফাইটার তিনি৷ গত বছর আগস্টে তিনি মুষ্টিযুদ্ধের মহাতারকা ফ্লয়েড মে-ওয়েদারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে রিংয়ে আসেন৷ এই আইরিশ ফাইটার অবশ্য হেরে যান৷ তবে এক খেলাতেই জিতে নেন ৬ কোটি ৩৯ লাখ ইউরো৷ সব মিলিয়ে গত বছর তাঁর মোট আয় ৮ কোটি ৪৪ লাখ ইউরো৷

আগের বছরের তুলনায় আয় বাড়লেও তালিকায় এক নম্বর থেকে তিন নম্বরে নেমে এসেছেন পর্তুগিজ তারকা৷ তাঁর বার্ষিক আয় এখন ৯ কোটি ২১ লাখ ইউরো৷

তাঁর গত বছরের আয় ছিল ৯ কোটি ৪৬ লাখ ইউরো৷ এই আয়ের অধিকাংশই আসে বার্সেলোনা ক্লাবের বেতন থেকে৷ এছাড়া আডিডাসসহ অন্য স্পন্সরশিপ চুক্তিগুলোও আছে এর সঙ্গে৷

এটা ঠিক যে, পেশাদার বক্সারদের জীবন বিপদজনক৷ কিন্তু তাঁরা যে অর্থ আয় করেন, তা হয়তো শারীরিক যন্ত্রণার চেয়ে অনেক বেশি৷ ফ্লয়েড মেওয়েদার জুনিয়র ২০১৭ সালে ২৪ কোটি ২৯ লাখ ইউরো কামিয়েছেন৷ এর অর্থ প্রতি ঘন্টায় তাঁর গড় আয় ছিল প্রায় ২৮ হাজার ইউরো৷

আর কেউ নন, তিনি জেবাস্টিয়ান ফেটেল৷ চারবারের এই ফরমুলা ওয়ান চ্যাম্পিয়ন অবশ্য তালিকায় ১৪ নম্বর স্থান থেকে পিছিয়ে ১৮-তে নেমে গেছেন৷ তাঁর বার্ষিক আয় ৩ কোটি ৬ লাখ ইউরো৷ ফোর্বসের হিসেবে ফেটেল সেরা একশ’র তালিকায় স্থান পাওয়া একমাত্র জার্মান৷

নারী-পুরুষে বৈষম্য একেবারে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় ক্রীড়াজগত৷ ফোর্বসের সেরা ১০০-র তালিকায় কোনো নারীই নেই৷ সন্তান জন্মদানের জন্য গত বছর খেলেননি টেনিস তারকা সেরেনা উইলিয়ামস৷ তাই ছিটকে পড়েছেন তালিকা থেকে৷ তার আগের বছর তিনি ছিলেন ৫১ নম্বরে৷