1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কেন ভোট কম, ব্যাখ্যা দিলেন ভারত থেকে যাওয়া পর্যবেক্ষক

গৌতম হোড় নতুন দিল্লি
৮ জানুয়ারি ২০২৪

বংলাদেশের ভোটপর্ব নিয়ে সরকারি স্তরে প্রতিক্রিয়া দেয়া হয়নি। ভারত থেকে যাওয়া পর্যবেক্ষকের সঙ্গে কথা বলেছে ডিডাব্লিউ।

https://p.dw.com/p/4axWX
মুন্সিগঞ্জে ভোটকেন্দ্রের বাইরের ছবি।
ভোটকেন্দ্রের বাইরে প্রচুর মানুষ ছিলেন। ছবি: Raihan Sakib

বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের আমন্ত্রণে ঢাকায় নির্বাচন পর্যবেক্ষক হিসাবে ভারত থেকে গেছেন সাবেক আমলা অমিতাভ রায়। ডিডাব্লিউকে ফোনে অমিতাভ জানিয়েছেন, রোববার সকাল আটটা থেকে তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কেন্দ্র থেকে শুরু করে অনেকগুলি জায়গায় ঘুরেছেন। ভোটকেন্দ্রের অবস্থা দেখেছেন। তার প্রথমেই যে বিষয়টি মনে হয়েছে, তা হলো, ভোট অনেক কম পড়েছে। একটি ভোটকেন্দ্রে ভোটদাতাদের সংখ্যা ছিল দুই হাজার ৩৩৭ জন, বেলা বারোটা পর্যন্ত সেখানে ভোট পড়েছিল ২৯২টি।

কেন এত কম ভোট পড়লো? অমিতাভ তিনটি কারণের কথা বলেছেন। ''প্রথমত, এবার নির্বাচনের ফলাফল আগে থেকে স্পষ্ট হয়ে যাওয়ায় মানুষের মধ্যে ভোট দেয়ার বিশেষ তাগিদ ছিল না, দ্বিতীয়ত, সকাল থেকে বেশ ঠান্ডা ছিল, তৃতীয়ত, মূলত নতুন ভোটাররা ভোট দেয়ার ক্ষেত্রে আগ্রহ দেখিয়েছে।''

অমিতাভ রায়।
বাংলাদেশে ভোট পর্যবেক্ষক হিসাবে গেছেন ভারতের সাবেক আমলা অমিতাভ রায়। ছবি: Amitabha Roy

তিনি জানিয়েছেন, বাংলাদেশে ''এবার এক কোটি ৫৪ লাখ নতুন ভোটারের নাম তালিকায় উঠেছে। তারাই ভোট দেয়ার ক্ষেত্রে বেশি উৎসাহী ছিল।''

অমিতাভ বলেছেন, ''মোট ১৫৭ জন বিদেশি পর্যবেক্ষক ছিলেন। তার মধ্যে নির্বাচন কমিশনের আমন্ত্রণে ভারত থেকে তিনজন গেছেন। অন্য কিছু সংগঠনের আমন্ত্রণেও কেউ কেউ গিয়েছিলেন। আর বিদেশ থেকে রিপোর্টার গিয়েছিলেন ৭১ জন।''

অমিতাভ জানিয়েছেন, তিনি যে সব কেন্দ্রে ঘুরেছেন, সেখানে রিগিং বা ছাপ্পা ভোট নিয়ে কোনো অভিযোগ ছিল না। তিনিও সেরকম কিছু দেখেননি। ভোটকেন্দ্রের বাইরে প্রচুর ভিড় ছিল। ভিতরে ভোট কম পড়লেও বাইরে ভিড় জমিয়েছিলেন অনেক মানুষ।

দেশে ফিরে এসে একমাসের মধ্যে বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনকে রিপোর্ট দেবেন পর্যবেক্ষকরা। তখন অবশ্য নির্বাচনপর্ব অনেকটাই পুরনো হয়ে যাবে। বাংলাদেশে যাওয়ার পর সেদেশের পররাষ্ট্রসচিব পর্যবেক্ষকদের কাছে দেশের ইতিহাস, অর্থনীতি, ভৌগোলিক পরিচয় ও অন্যান্য বিষয়ে জানান। অমিতাভের মনে হয়েছে, পররাষ্ট্রসচিবের ওই ভাষণ ছিল খুবই মনোগ্রাহী।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অবস্থান

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশের নির্বাচন সম্পর্কে এখনো পর্যন্ত একটাই মন্তব্য করেছে, সেটা হলো, ''বাংলাদেশের নির্বাচন তাদের ঘরোয়া বিষয়। বাংলাদেশের নাগরিকেরা ঠিক করবেন, কাকে নির্বাচিত করবেন।''