কিশোরী রিমান্ডে
১৯ আগস্ট ২০১৩বাংলা ইন্টারনেট কমিউনিটিতে এখন সবচেয়ে আলোচনায় রয়েছে এক কিশোরী৷ জোড়া খুনের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে তাকে৷ বাংলা ব্লগ এবং ফেসবুকে এই বিষয়ে মন্তব্য করেছেন অসংখ্য মানুষ৷ সামহোয়্যার ইন ব্লগে এম এ হাসান মাহমুদ লিখেছেন, ‘‘আমরা বাঙালিরা বড় বেশি আবেগি, সেটা আরেকবার প্রমাণ হলো৷ শিশু অধিকার সনদে আছে – ১৮ বছরের নীচে বয়সের কারো, বিকৃত এবং আইনের চোখে আসামী হিসেবে ছবি ছাপানো নিষেধ৷ কিন্তু *** মেয়েটির বেলায় আমরা সকল গণমাধ্যম তা বেমালুম ভুলে গেছি৷''
বাংলাদেশের অনেক পত্রিকায় আলোচিত কিশোরীর ছবি প্রকাশ করা হয়েছে৷ এই বিষয়ে সাংবাদিক সুপ্রীতি ধর ফেসবুকে লিখেছেন, ‘‘...সাংবাদিক বন্ধুদের বলছি, ***-র ঘটনাটাকে স্রেফ ‘অপরাধ' হিসেবে দেখবেন না৷ ওকে অভিযুক্ত করার আগেই মেরে ফেলবেন না৷ ওর ছবি ছেপে দিয়েন না আর৷''
বাবু আহমেদ নামক আরেক ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘‘...আইন আরও বলে, এ আদালতে বিচারাধীন কোনো মামলায় জড়িত বা সাক্ষ্য প্রদানকারী কোনো শিশুকে সংবাদমাধ্যমে শনাক্ত করা যাবে না৷ কখনো করতে চাইলে, বিচারকের অনুমতি নিতে হবে৷ বিচারক বুঝে দেখবেন, শনাক্তকরণ শিশুটির জন্য ক্ষতিকর হবে কি না৷ নতুন শিশু আইন ২০১৩ তে এটি ২৮ নম্বর ধারা৷ সুস্পষ্ট ভাবেই মেইন্সট্রিম মিডিয়াগুলো এই আইন লঙ্ঘন করেছে৷''
এদিকে, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান সোমবার জানিয়েছেন, ‘‘জেলা প্রবেশনার কর্মকর্তাকে না জানিয়ে, বয়স যাচাই না করে অপ্রাপ্তবয়স্ক কাউকে গ্রেপ্তার দেখানো শিশু অধিকার আইনের লঙ্ঘন৷'' বাংলাদেশে ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম প্রকাশ করেছে এই তথ্য৷
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় ঢাকার চামেলীবাগের একটি ফ্ল্যাট থেকে পুলিশ কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান ও তাঁর স্ত্রী স্বপ্না রহমানের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ৷ দুই সন্তান এবং এক গৃহকর্মীকে নিয়ে ওই ফ্ল্যাটে থাকতেন তাঁরা৷
*** জার্মানির গণমাধ্যম নীতিমালা অনুসরণ করে আলোচিত কিশোরীর নাম, ছবি প্রকাশ করা হয়নি৷
সংকলন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ