1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আশ্বস্ত হতে পারছেন না ফুকুশিমার মানুষ

১১ মার্চ ২০১৩

জাপানে ভয়াবহ সুনামির আঘাতের দুই বছর হয়েছে৷ ২০১১ সালের ১১ মার্চ আঘাত হানা ঐ সুনামির কারণে ফুকুশিমা পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রেও দুর্ঘটনা ঘটেছিল৷

https://p.dw.com/p/17ujw
People join hands facing the sea to mourn victims of the March 11, 2011 earthquake and tsunami, in Iwaki, Fukushima Prefecture March 10, 2013 early morning, a day before the second-year anniversary of the earthquake and tsunami that killed thousands and set off a nuclear crisis. REUTERS/Kyodo (JAPAN - Tags: DISASTER POLITICS ANNIVERSARY) ATTENTION EDITORS - THIS IMAGE WAS PROVIDED BY A THIRD PARTY. FOR EDITORIAL USE ONLY. NOT FOR SALE FOR MARKETING OR ADVERTISING CAMPAIGNS. THIS PICTURE IS DISTRIBUTED EXACTLY AS RECEIVED BY REUTERS, AS A SERVICE TO CLIENTS. MANDATORY CREDIT. JAPAN OUT. NO COMMERCIAL OR EDITORIAL SALES IN JAPAN. YES
ছবি: Reuters

এরপর তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় সরকার ঐ বিদ্যুৎকেন্দ্রের আশেপাশের ২০ কিলোমিটার এলাকায় থাকা সব বাসিন্দাদের সরে যেতে অনুরোধ করেন৷ এতে প্রায় এক লক্ষ মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে যায়৷

তবে আদতে ২০ কিলোমিটারের বাইরের লোকজনও নিরাপত্তার কারণে এলাকা ছেড়ে চলে যায়৷

এদের একজন মিকিও নিহাই৷ ৩৮ বছর বয়সি নিহাই'এর স্ত্রী তাদের ছোট্ট দুই মেয়েকে নিয়ে ফুকুশিমা ছেড়ে এখন থাকছেন টৌকিওতে৷ আর নিহাই জীবিকার তাগিদে রয়ে গেছেন ফুকুশিমাতেই৷ কারণ তিনি সেখানে একটি গাড়ি কারখানায় চাকরি করেন৷ অর্থাৎ তাঁর পরিবার দ্বিখণ্ডিত হয়ে গেছে৷

যাতায়াত ব্যয়বহুল হওয়ায় নিহাইয়ের পক্ষে মাসে একবারের বেশি টোকিও যাওয়া সম্ভব হয় না৷ তাই মানসিকভাবে কষ্টে আছেন নিহাই৷

এমন কাহিনি ভুরিভুরি৷ তাইতো সরকারি হিসেবে ফুকুশিমা দুর্ঘটনায় কেউ নিহত না হলেও এর কারণে মানুষকে যে দুর্ভোগ পোহাত হচ্ছে তার কোনো শেষ নেই৷

শুরুতে যখন বাড়ি ছাড়তে বলা হয়েছিল তখন ধারণা ছিল, হয়তো বছর দুয়েকের মধ্যে আবার ফেরা সম্ভব হবে৷ কিন্তু আজ দুবছর পার হতে চললেও কবে ফুকুশিমায় ফেরা যাবে তা জানেন না নিহাই৷

যদিও সরকার সহ আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ সংস্থাগুলো বলছে যে, ফুকুশিমার পরিবেশে এখন যে তেজস্ক্রিয়তা রয়েছে তাতে স্বাস্থ্যগত ক্ষতির সম্ভাবনা নেই৷ কিন্তু তারপরও মানুষ আশ্বস্ত হচ্ছে না৷ তারা ফিরে যেতে চাইছেন না৷

লিতাতে গ্রামের মেয়র নোরিও কানো, যিনি ফুকুশিমা ছেড়ে এখন টোকিওতে থাকছেন, তিনি বলছেন ফুকুশিমার পরমাণু চুল্লি ও তার আশেপাশের এলাকা পুরোপুরি তেজস্ক্রিয়তা মুক্ত করতে লাগতে পারে প্রায় ৩০ বছর৷

ফুকুশিমা এলাকার কৃষক ও মৎসজীবীরাও রয়েছেন বিপদে৷ গবেষণায় তাদের উৎপাদিত ফসল ও মাছ তেজস্ক্রিয়তামুক্ত বলে প্রমাণিত হলেও মানুষ তা কিনতে চাইছে না বলে জানান তারা৷

জেডএইচ / এসবি (এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য