জার্মান ব্যাংকারের জেল
২ জুন ২০২১ব্যক্তিগত গোপনীয়তার কারণে জার্মানির বন শহরের আদালত ঐ কর্মকর্তার নাম প্রকাশ করেনি৷ তবে তিনি জার্মানির বেসরকারি ব্যাংক এমএম ভারবুর্গে কাজ করতেন৷ কর ফাঁকি দিয়ে আয় করা এক কোটি তিন লাখ টাকাও তাকে ফেরত দিতে বলা হয়েছে৷ অবশ্য এই রায়ের বিরুদ্ধে তিনি আপিল করতে পারবেন৷
‘কম-এক্স' কর ফাঁকির বিষয়টা এমন: কোনো কোম্পানির ডিভিডেন্ড ঘোষণার দিন ও তার কিছু আগে-পরে কয়েকজন মিলে নিজেদের মধ্যে ঐ কোম্পানির শেয়ার দ্রুত লেনদেন করেন৷ এর মাধ্যমে তারা যে কর কখনও দেননি, তার উপরও রিটার্ন পেয়ে থাকেন৷ পরে নিজেদের মধ্যে ঐ টাকাটা ভাগ করে নেন তারা৷ আইনের একটি ফাঁক কাজে লাগিয়ে জেনেশুনেই এভাবে লাভবান হতেন বিনিয়োগকারীরা৷ এতে ক্ষতি হত সরকারের৷ যেমনটা হয়েছে ইউরোপের বিভিন্ন দেশের সরকারের৷ ক্ষতির পরিমাণ প্রায় পাঁচ লাখ ৬৯ হাজার কোটি টাকা৷ সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে জার্মানির- প্রায় ৫৭ হাজার কোটি টাকা৷
২০১২ সালে জার্মানি আইনের ঐ ফাঁক বন্ধ করে দেয়৷ আদালত বলেছে, ঐ ব্যাংক কর্মকর্তা অবৈধ জেনেও ২০০৬ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত চলা কর লেনদেনের বিষয়টি গোপন রেখেছেন৷
২০১৭ সালে প্রথম ‘কম-এক্স' কর ফাঁকি কেলেংকারির বিষয়টি ধরা পড়ে৷
কেলেংকারির সঙ্গে জড়িত সন্দেহে সাম্প্রতিক সময়ে জার্মানির ডয়চে বাংক, কমার্ৎসবাংক ও ফ্রাংকফুর্টের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ক্লিয়ারস্ট্রিমের একটি সাবসিডিয়ারিতে বেশ কয়েকবার অভিযান চালানো হয়৷
‘কম-এক্স' কেলেংকারির ঘটনায় এই প্রথম কাউকে কারাদণ্ড দেয়া হলো৷ এর আগে গত বছর মার্চে বন শহরের আদালত একই অভিযোগে দুজন ব্রিটিশ সাবেক ইনভেস্টম্যান্ট ব্যাংকারের বিরুদ্ধে স্থগিত রায় দিয়েছিল৷
জেডএইচ/কেএম (এএফপি, রয়টার্স, ডিপিএ)