কংগ্রেসের মুখোমুখি মার্কিন গোয়েন্দা
২৯ অক্টোবর ২০১৩ফোনে আড়িপাতার বিষয়টি নিয়ে বেশ তোলপাড় যুক্তরাষ্ট্রে৷ তবে এতকিছুর পরও যুক্তরাষ্ট্র এই অভিযোগ স্বীকার করতে রাজি নয়৷
সোমবার হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জে কার্নি বলেছেন, দেশের জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে গোয়েন্দারা তাঁদের কর্মসূচিতে পরিবর্তন এনেছেন এবং তাঁরা সেটা খুব ভালোভাবেই করতে সমর্থ হয়েছেন৷ তবে কি কারণে এবং কিভাবে গোয়েন্দারা তথ্য সংগ্রহ করেছেন সে প্রক্রিয়াটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি৷ হোয়াইট হাউস গোয়েন্দা সংস্থার বিভিন্ন কর্মসূচি পর্যালোচনা করে দেখছে বলেও জানান কার্নি৷
শুনানিতে উপস্থিত থাকবেন এনএসএ-র মহাপরিচালক কিথ আলেকজান্ডার, উপ-পরিচালক ক্রিস ইঙ্গলিস, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জেমস কোল৷ এনএসএর কর্মসূচি এবং ফরেন ইন্টেলিজেন্স অ্যাক্টের আওতায় তাঁরা ফোনে আড়ি পেতেছেন কিনা – সে বিষয়ে তাদের জবাবদিহি করতে হবে সেখানে৷ ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের পরিচালক জেমস আর চ্যাপলার বলেছেন, ফরেন ইন্টেলিজেন্স সারভেইল্যান্স অ্যাক্ট মেনে প্রেসিডেন্টের নির্দেশ অনুযায়ী তাঁরা কাজ করেছেন৷ প্যাট্রিয়ট অ্যাক্টের ২১৫ ধারা অনুযায়ী, নিরাপত্তার স্বার্থে গোয়েন্দারা ফোনে আড়ি পাততে পারবেন৷
সাবেক ডেপুটি অ্যাসিসটেন্ট সেক্রেটারি অফ স্টেট হিথার কনলি বলেছেন, মার্কিন প্রশাসন এই আড়িপাতা বিষয়টি প্রকাশের পরও উপযুক্ত পদক্ষেপ নিচ্ছে না৷ এই ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ইউরোপের দেশগুলোর সম্পর্কের উপর প্রভাব পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি৷
কনলি বলেন, এই বিষয়টি সন্দেহ এবং অবিশ্বাসের জন্ম দিয়েছে, এমনকি কেবল প্রেসিডেন্টের নেতৃত্ব নয়, যুক্তরাষ্ট্র আসলেই সহযোগী দেশ কিনা সেটা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে৷
মার্কিন কংগ্রেসসদস্যদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য বর্তমানে ওয়াশিংটনে আছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের কর্মকর্তারা৷ তাঁরা বলছেন, এ ঘটনা যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বাণিজ্য চুক্তিতে প্রভাব ফেলবে৷
এদিকে, এমন অবস্থার মধ্যে জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের কনজারভেটিভ দল এবং সোশ্যাল ডেমোক্রেট দল ঘোষণা করেছে, পার্লামেন্টের নিম্ন কক্ষ বুন্ডেসটাগে আগামী মাসে যুক্তরাষ্ট্রের আড়ি পাতার বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে৷ ম্যার্কেলের অফিসের মুখপাত্র ১৮ নভেম্বর এই বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে বলে নিশ্চিত করেছেন৷
এপিবি/এসি (এপি, রয়টার্স)