1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এ্যাপ্লায়েড ইউনিভার্সিটি বন-রাইন-জিগ

১১ জুলাই ২০১১

বন শহরের কাছেই অবস্থিত ফাখহোখশুলে বন-রাইন-জিগ৷ নতুন এই বিশ্ববিদ্যালয়টি ইতিমধ্যেই তাদের পড়াশোনা এবং বিভিন্ন কর্মসূচির জন্য সুনাম কুড়িয়েছে৷ প্রতি বছর আসছে কয়েক’শ বিদেশি ছাত্র-ছাত্রী৷

https://p.dw.com/p/11sq7
হোখশুলে বন-রাইন-জিগের ক্যাম্পাসছবি: Fachhochschule Bonn-Rhein-Sieg

ফাখহোখশুলে বন-রাইন-জিগ প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৯৫ সালে৷ বর্তমানে সাড়ে পাঁচ হাজারের কিছু বেশি ছাত্র-ছাত্রী পড়াশোনা করছে৷ রয়েছে প্রায় ১৩১ জন অধ্যাপক এবং ১৫৬ গবেষক৷ সবমিলে প্রায় ২৪টি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পড়াশোনার সুযোগ দিচ্ছে ফাখহোখশুলে বন-রাইন-জিগ৷ বিদেশি ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ইদানিং বেড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে৷ তাদের সাহায্য করার জন্য রয়েছে একটি ইন্টারন্যাশনাল অফিস৷

ড. রোলান্ড ভাইস ইন্টারন্যাশনাল অফিসের দায়িত্বে রয়েছেন৷ ঠিক কতজন বিদেশি ছাত্র-ছাত্রী এই মুহূর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছে৷ এ প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘‘এই মুহূর্তে প্রায় ৫০০ জন বিদেশি ছাত্র-ছাত্রী এখানে পড়াশোনা করছে৷ আর সবমিলে এখানে পড়ুয়াদের সংখ্যা প্রায় পাঁচ হাজার সাতশো৷ বিদেশি ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে চীনা, ভারতীয় এবং পাকিস্তানিদের দেখা যাবে৷''

Campus der Fachhochschule Bonn Rhein Sieg
বিশ্ববিদ্যালয়ের চত্বরছবি: Fachhochschule Bonn-Rhein-Sieg

বিদেশি ছাত্র-ছাত্রীদের পূর্ণ সহযোগিতা করছে ইন্টারন্যাশনাল অফিস

বিদেশি ছাত্র-ছাত্রীদের কীভাবে সাহায্য সহযোগিতা করা হয়? বিশেষ করে যেসব ছাত্র-ছাত্রী প্রথমবারের মত জার্মানিতে উচ্চশিক্ষার জন্য এসেছে? ড. ভাইস বললেন,‘‘বিদেশি ছাত্র-ছাত্রীদের আরো ভালভাবে সাহায্য এবং সহযোগিতা করার জন্য আমাদের ইন্টারন্যশনাল অফিসের কার্যক্রম বাড়ানো হয়েছে৷ ইন্টারনেটের সাহায্যে যে কোন ছাত্র-ছাত্রী তাদের অসুবিধার কথা জানাতে পারে৷ এটা তারা শুরু করতে পারে জার্মানিতে আসার আগেই৷ এখানকার জীবন-যাত্রা সম্পর্কেও একটি স্পষ্ট ধারণা তারা পেতে পারে৷ এর পাশপাশি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কেও নানা ধরণের তথ্য আমরা আমাদের ওয়বসাইটের পাতায় তুলে দিয়েছি৷''

এর পাশাপাশি স্টাডি-বাডির ব্যবস্থা করা আছে৷ প্রতিটি বিদেশি ছাত্র বা ছাত্রীর সঙ্গে একজন স্টাডি-বাডি যুক্ত করে দেয়া হবে৷ এরা পড়াশোনার নিয়ম কানুন বোঝাতে সাহায্য করবে নতুন অতিথিদের৷ প্রথমদিনেই এরা ভিসা অফিসে তাদের নিয়ে যাবে, ব্যাংক এ্যাকাউন্ট খুলতে, হেল্থ ইন্স্যুরেন্স কার্ড পেতে সাহায্য করবে৷ এসব হচ্ছে শুরুর দিকের কাজ এবং করতেই হবে৷ নয়তো বাকি কাজগুলো এগুবে না৷এছাড়া বিদেশি ছাত্র-ছাত্রী যারা বৃত্তি ছাড়া পড়তে আসে তাদের বিভিন্ন বৃত্তি প্রদানকারী সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়৷ বেশ কিছু বৃত্তি প্রদানকারী সংস্থার নাম-ঠিকানাও ছাত্র-ছাত্রীদের দিয়ে দেয়া হয়৷ কীভাবে বৃত্তির জন্য আবেদন করা যেতে পারে তাও ছাত্র-ছাত্রীদের বুঝিয়ে দেয়া হয়৷

No Flash Jobs zum Mitnehmen
পছন্দমত চাকরি খুঁজছে প্রার্থীছবি: Picture-Alliance/dpa

চাকরির মেলা ‘জব মেসে' বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনেই

পড়া শেষে বিদেশি ছাত্র-ছাত্রীদের চাকরি বা ইন্টার্নশিপের ব্যবস্থা করে দেয় বিশ্ববিদ্যলয়৷ তবে তা পড়াশোনা শেষে নয় সেমেস্টার চলাকালেই শুরু হয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করা৷ এ বিষয়ে ড. ভাইস জানালেন,‘‘আমাদের এখানকার পড়াশোনা ভিন্ন ধরণের৷ শুধু তাত্ত্বিক বিষয়ের ওপর নজর দেয়া হয় না৷ ব্যবহারিক দিকগুলোও শেখানো হয়৷ পড়াশোনা চলাকালেই আমরা বিভিন্ন ইন্টার্নশিপের সুযোগ-সুবিধার কথা বলি৷ আমরা সাহায্য করি বিভিন্নভাবে৷ যেমন আমাদের পরিচিত যে সব কোম্পানি রয়েছে তাদের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করি, তাদের কাছেই আমরা ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠাই৷ এছাড়া প্রতি বছর বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনে আমরা বিশেষ একটি দিনের আয়োজন করি৷ সেই দিন বিভিন্ন দেশি-বিদেশি কোম্পানি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসে৷ তাদের সংস্থায় কাজ করার সুয়োগ-সুবিধার নানা দিক তারা তুলে ধরে৷''

এই দিনে বেশ কিছু কোম্পানির কর্ণধার এবং প্রতিনিধির সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করার সুযোগ পায় ছাত্র-ছাত্রীরা৷ কীভাবে চাকরি বা ইন্টার্নশিপের জন্য আবেদন করা যেতে পারে, ইন্টারভিউয়ের জন্য কীভাবে নিজেকে তৈরি করা যেতে পারে– এসব সংস্থাগুলো জানিয়ে দেয়৷ এ বছরও বিশ্ববিদ্যালয় এ ধরণের বিশেষ একটি দিনের আয়োজন করেছে৷

Dr. Roland Weiß
ড. রোলান্ড ভাইসছবি: Fachhochschule Bonn-Rhein-Sieg

ইংরেজিতে পড়ার সুযোগ দিচ্ছে হোখশুলে বন-রাইন-জিগ

জার্মান ভাষার প্রয়োজনীয়তা কতটুকু? আমরা সবসময়ই বলেছি জার্মান ভাষা শেখা এবং জানা জরুরি৷ তবে কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করা যায় পুরোপুরি ইংরেজিতে৷ ফাখহোখশুলে বন-রাইন-জিগও এর ব্যতিক্রম নয়৷ ড. ভাইসের আশ্বাস,‘‘আমাদের এখানে বেশির ভাগ বিষয়ই পড়ানো হয় জার্মান ভাষায়৷ তবে অল্প কিছু বিষয় পড়া যায় পুরোপুরি ইংরেজিতে৷ এর মধ্যে এ্যাপ্লায়েড বায়োলজিতে অনার্স, বায়ো মেডিক্যাল সায়েন্সে মাস্টার্স, এনজিও ম্যানেজমেন্ট এবং কম্পিউটার সায়েন্স – এই বিষয়গুলো পুরোপুরি ইংরেজিতে পড়া সম্ভব৷ এছাড়া রয়েছে আরো কিছু বিষয় যেখানে জার্মান এবং ইংরেজি দুটি ভাষাতেই ক্লাস নেয়া হয়৷ এর মধ্যে রয়েছে ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়া স্টাডিজ৷''

প্রতিবদন: মারিনা জোয়ারদার

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক