1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এশিয়ায় কমেছে দারিদ্র্যের হার, বেড়েছে ক্ষুধা, পুষ্টিহীনতা

২১ সেপ্টেম্বর ২০১০

বিশ্বের ক্ষুধা ও দারিদ্র্য কমানোসহ সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য বা এমডিজির অগ্রগতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে চলছে তিনদিনের অধিবেশন৷ ২০১৫ সালের মধ্যে এমডিজি বাস্তবায়নে করণীয় নিয়ে সেখানে আলোচনায় ব্যস্ত ১৪০টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা৷

https://p.dw.com/p/PHq5
এশিয়ার তিন কোটি শিশু শিক্ষাবঞ্চিত (ফাইল ফটো)ছবি: UNI

দারিদ্রতা কমছে, বাড়ছে পুষ্টিহীনতা

এশিয়ার অনেক মানুষ একেবারে চরম দরিদ্র অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছে৷ সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য বা এমডিজি এক্ষেত্রে খানিকটা সফল বলা যায়৷ তবে, পুষ্টিহীনতা রোধে এশিয়ার অবস্থা সন্তোষজনক নয়৷ জাতিসংঘের এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে এসব তথ্য৷ সেখানে বলা হয়েছে, ১৯৯০ সালে এশিয়ার ১.৫ বিলিয়ন মানুষের প্রত্যেকের প্রতিদিনের গড় আয় ছিল ১.২৫ ডলারের নিচে৷ ২০০৫ সাল নাগাদ এই সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৯৫ কোটিতে৷ এমডিজি বাস্তবায়নে এই সাফল্য উল্লেখযোগ্য হলেও এখনো বিশ্বের দুই-তৃতীয়াংশ দরিদ্র আর ক্ষুধার্ত মানুষের বাস এশিয়াতে৷ সেখানকার প্রতি ছয়জনে একজন অপুষ্টির শিকার৷ মোটের ওপর শিশুমৃত্যুর হারও বেশি আর গর্ভকালীন স্বাস্থ্য সুরক্ষায়ও এশিয়ার দেশগুলো বিশেষ সাফল্য দেখাতে পারছেনা৷

MDG Flash-Galerie
গর্ভকালীন স্বাস্থ্য সুরক্ষায়ও এশিয়ার দেশগুলো বিশেষ সাফল্য দেখাতে পারছেনাছবি: UN Millenniumkampagne Deutschland

বিশুদ্ধ পানি নেই, শিক্ষার অভাব

জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে যে ধারা চলছে তাতে ২০১৫ সাল নাগাদ এশিয়ায় আরো সাড়ে তিন কোটি মানুষ চরম দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যাবে৷ আরো নব্বই লাখ শিশু অপুষ্টির শিকার হবে৷ দক্ষ চিকিৎসক ছাড়াই জন্ম নেবে সতের লাখ শিশু৷ পর্যাপ্ত পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার সুবিধা না পাওয়ার দলে যোগ হবে আরো সাত কোটি মানুষ৷

শুধু তাই নয়, এশিয়ায় বর্তমানে প্রায় ৪৭ কোটি মানুষ বিশুদ্ধ পানি পাচ্ছে না৷ তিন কোটি শিশু প্রাথমিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে৷ সত্তর লাখ মানুষের রয়েছে যক্ষ্মা রোগ৷

লক্ষ্য ২০১৫

জাতিসংঘের প্রতিবেদনে আশার কথাও শোনানো হচ্ছে৷ বর্তমান অবস্থার উন্নতিতে আঞ্চলিক বাণিজ্য বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে৷ সেইসঙ্গে লিঙ্গবৈষম্য কমাতে হবে৷ পরিকাঠামোগত উন্নয়ন এবং সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতেও এগিয়ে আসতে হবে এশিয়ার দেশগুলোকে৷

প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য