বোরকা পরিহিত ‘সুপারহিরো’!
৩১ জুলাই ২০১৩‘বোরকা অ্যাভেঞ্জার' নামের কার্টুনটির সুপারহিরোর নাম জিয়া৷ তিনি আদতে একজন স্কুল শিক্ষিকা৷ কিন্তু বাবা বান্দুক নামের এক তালেবান নেতা স্কুল বন্ধ করে দিতে চাইলে তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান জিয়া৷ আর এ কাজের সময় নিজের চেহারা ঢাকতে তিনি আশ্রয় নেন বোরকার৷ এরপর বাতাসে উড়ে শত্রুকে ঘায়েল করতে তাদের দিকে ছুঁড়ে মারেন বই আর কলম৷
মোট ১৩ পর্বের এই সিরিজটি নির্মাণ করেছেন পপস্টার হারুন রশিদ৷ প্রতিটি পর্ব ২২ মিনিট করে৷ পাকিস্তানের একটি বেসরকারি চ্যানেলে কার্টুনটি প্রচারিত হচ্ছে৷ এর মাধ্যমে মেয়েদের জন্য শিক্ষার প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি তুলে ধরা হচ্ছে৷ ডয়চে ভেলেকে রশিদ বলেন, ‘‘আমরা দর্শকদের বোঝাতে চেয়েছি যে, শিক্ষাই সব সমস্যার সমাধান করতে পারে৷
এছাড়া পরিবেশ রক্ষা, সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষা সহ বিভিন্ন সামাজিক সচেতনতামূলক বার্তাও শিশুদের কাছে পৌঁছে দেয়া হবে কার্টুনের মাধ্যমে, জানান রশিদ৷ শিশুরা দর্শক বলে কার্টুনে কোনো সহিংসতার দৃশ্য রাখা হয়নি৷ মোটামুটি হাসি-ঠাট্টার মাধ্যমেই বার্তা দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে৷
গত রবিবার প্রথম পর্ব প্রচারিত হওয়ার পর বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে বোরকা অ্যাভেঞ্জার৷ তবে সুপারহিরোকে বোরকা পরানোয় কিছুটা বিতর্ক হচ্ছে৷ যেমন লেখিকা বিনা শাহ তাঁর ব্লগে লিখেছেন, ‘‘সুপারহিরোকে বোরকা পরানোর মাধ্যমে কি ছোট ছোট মেয়েদের এটাই শেখানো হচ্ছে না যে, বোরকা তাদের আরও ক্ষমতাবান করে?''
তবে কার্টুনটির নির্মাতা রশিদ বলছেন, পশ্চিমে ‘ক্যাটওম্যান' বা ‘ওয়ান্ডার ওম্যান' নামের নারীপ্রধান কার্টুন সিরিজগুলোতে সুপারহিরোকে সংক্ষিপ্ত, আঁটসাঁট পোশাক পরানোর মাধ্যমে আসলে নারীকে যৌন আবেদনময়ী হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে, তাদেরকে পণ্য বানানো হয়েছে৷ ‘‘আমার কার্টুনে সুপারহিরোকে বোরকা পরানোর মাধ্যমে আমি কিছুটা স্থানীয় ফ্লেভারও দেয়ার চেষ্টা করেছি,'' বলেন তিনি৷