এক জার্মান সিরিয়াল কিলারের কথা
৩০ অক্টোবর ২০১৮২০০০ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০০৫ সালের জুন পর্যন্ত অল্ডেনবুর্গ ও ডেলমেনহোর্স্ট শহরের দুটি হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন হ্যোগেল৷
প্রাণ যাওয়া রোগীদের মধ্যে সবচেয়ে কমবয়সি রোগীর বয়স ছিল ৩৪, আর সবচেয়ে বেশি বয়সের রোগীর বয়স ছিল ৯৬৷
কৌঁসুলিরা বলছেন, ঊর্ধ্বতনদের কাছে নিজের দক্ষতা প্রমাণ করতে কিংবা একঘেয়েমি থেকে মুক্তি পেতে হ্যোগেল রোগীদের শরীরে ওষুধ প্রয়োগ করতেন৷ এক্ষেত্রে তিনি এলোমেলোভাবে রোগী বাছাই করতেন এবং তারপর তাঁদের শরীরে এমন ওষুধ প্রবেশ করাতেন যার প্রভাবে সেই রোগী হার্ট অ্যাটাকসহ অন্যান্য জটিলতায় ভোগা শুরু করেন৷ তারপর হ্যোগেল এই রোগীদের সারিয়ে তুলে সহকর্মী কিংবা ঊর্ধ্বতনদের সামনে নিজের দক্ষতা দেখাতে চাইতেন৷
২০০৫ সালে ডেলমেনহোর্স্ট শহরের হাসপাতালে এক রোগীর সঙ্গে এমন কাজ করার সময় অপর এক নার্সের কাছে ধরা পড়েন হ্যোগেল৷ এরপর তদন্তকারীরা সন্দেহজনক প্রায় ২০০টি মামলার তদন্ত করেছেন৷ তদন্তের প্রয়োজনে ১৩০টি লাশ কবর থেকে তোলা হয়েছে৷
২০১৫ সালে দুজন রোগীকে হত্যার দায়ে হ্যোগেলকে আজীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়৷
তবে পরবর্তীতে তদন্তকারীরা জানতে পারেন যে, হ্যোগেলের অপরাধের শিকার মাত্র দুজন নন, আরো অনেক বেশি৷
মঙ্গলবার অল্ডেনবুর্গ শহরের আদালতে বিচারক ১০০ জন রোগী হত্যার সঙ্গে তিনি জড়িত কিনা জানতে চাইলে হ্যোগেল বলেন, ‘হ্যাঁ'৷
আগামী বছরের মে পর্যন্ত এই মামলার শুনানি চলতে পারে৷
যুদ্ধপরবর্তী জার্মানির ইতিহাসে অন্যতম ভয়ংকর খুনি পুরুষ নার্স হিসাবে বিবেচিত হচ্ছেন হ্যোগেল৷
জেডএইচ/এসিবি (এপি, এএফপি, ডিপিএ)