ইসরায়েলি সেনাদের হামলায় ফিলিস্তিনি ও মিশরীয়দের প্রাণহানি
২০ আগস্ট ২০১১গত বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের একেবারে দক্ষিণে, মিশরের সীমান্তবর্তী এলিয়াত মরুভূমিতে বন্দুকধারীরা হামলা চালায়৷ এই হামলায় তাদের দুই সেনা সহ আটজন প্রাণ হারিয়েছে৷ ইসরায়েলিদের ওপর হামলায় সাত জন অংশ নেয় বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ৷ তাদের অভিযোগ, হামলাকারীদের পেছনে গাজার পপুলার রেজিস্ট্যান্স গ্রুপের হাত রয়েছে৷ উল্লেখ্য, এই গ্রুপের সঙ্গে হামাসের ঘনিষ্ঠতা রয়েছে, তবে তারা বিচ্ছিন্নভাবেও অনেক সময় কাজ করে বলে জানা যায়৷ ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়ভ মোরডেখাই বলেছেন, হামলার আগেই তারা গোয়েন্দা মারফত খবর পেয়েছিলেন৷ তবে পপুলার রেজিস্ট্যান্স গ্রুপের পক্ষ থেকে এই হামলায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে৷ এই গ্রুপের মুখপাত্র আবু মুজাহিদ বলেছেন, নিজেদের অভ্যন্তরীণ সমস্যা ঢাকার জন্য এই অভিযোগ তুলেছে ইসরায়েল৷
এই ঘটনার পরপরই ইসরায়েল গাজায় হামলা চালিয়েছে৷ বার্তা সংস্থাগুলোর খবর থেকে জানা গেছে, নিহতদের মধ্যে একজন বালকও রয়েছে৷ গাজার সঙ্গে মিশরের সীমান্তবর্তী রাফাহ এলাকাতেও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি জঙ্গি হেলিকপ্টার৷ মিশরের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানিয়েছে, ইসরায়েলের হামলায় দুই মিশরীয় নাগরিক নিহত হয়েছে৷ তবে সেদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যে ইসরায়েলের গোলায় পাঁচ জন মিশরীয় পুলিশ প্রাণ হারিয়েছে৷ অন্যদিকে গাজার একটি কম্পাউন্ড লক্ষ্য করেও হামলা চালায় ইসরায়েলের বিমান, যাতে প্রাণ হারায় ছয় ফিলিস্তিনি৷ যাদের মধ্যে পাঁচজন গাজার পপুলার রেজিস্ট্যান্স গ্রুপের সদস্য৷
এদিকে ইসরায়েলের এই হামলার জবাবে গাজা থেকেও পাল্টা রকেট ছোঁড়া হয়েছে ইসরায়েলের ভূমি লক্ষ্য করে৷ এতে আহত হয়েছে অন্তত দুই ইসরায়েলি নাগরিক৷ যাদের একজনের অবস্থা গুরুতর৷ তবে মিশরের পুলিশ নিহত হওয়ার ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবাদ জানিয়েছে মিশর৷ মনে করা হচ্ছে, ইসরায়েলি বিমান ভুল করে মিশরের নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়েছে৷ এদিকে মিশরের সেনা প্রধান সামি এনান সিনাই এলাকাতে যাচ্ছেন এই ঘটনা তদন্ত করতে এমন খবরও জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি৷
প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ