ইরান-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক
৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৩সম্পর্কোন্নয়নের পূর্বশর্ত অবশ্যই ইরানের বিতর্কিত পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে পশ্চিমা বিশ্বের শঙ্কা এবং সন্দেহের অবসান৷ সিবিএস টেলিভিশন চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি বলেছেন, পরমাণু কর্মসূচি যে পরমাণু অস্ত্র তৈরির পরিকল্পনার অংশ নয় – এ বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হলেই কেবল দু দেশের সম্পর্কোন্নয়ন সম্ভব৷ ইরান যদি সে নিশ্চয়তা দিতে পারে, তাহলে ‘কথিত সময়ের আগেই একটা সমঝোতা সম্ভব' বলেও জানিয়েছেন কেরি৷
গত আগস্টে ইরানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে কাজ শুরু করেন হাসান রোহানি৷ নিজের প্রথম বিদেশ সফরে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে প্রথম বারের মতো ভাষণ দেন তিনি৷ আশা করা হয়েছিল, সেখানে বক্তব্যে পরমাণু কর্মসূচি এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের বিষয়টি স্পষ্টভাবে উঠে আসবে৷ কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি৷ তবে এর পরই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে উল্লেখযোগ্য একটি পদক্ষেপ নেন ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট৷ শুক্রবার টেলিফোনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে কথা বলেন তিনি৷ টেলিফোন কথোপকথনে রোহানি জানান, আগামী তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে দু দেশের সম্পর্কে ইতিবাচক অগ্রগতি হবে বলে আশা করেন তিনি৷
টেলিভিশন চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে সেই প্রসঙ্গ টেনেই আশাবাদ ব্যক্ত করেন জন কেরি৷ তবে আশার কথা শোনানোর পাশাপাশি এ কথাও বলতে ভোলেননি, ‘‘আমরা চাই ভালো একটা সমঝোতা৷'' ভালো সমঝোতা যে ইরান তার পরমাণু কর্মসূচি সম্পর্কে সমস্ত তথ্য জানিয়ে আশ্বস্ত করার পরই সম্ভব সেটাও জানিয়ে দিয়েছেন তিনি৷
এদিকে ইরানের সাম্প্রতিক বক্তব্যে আবারও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু৷ ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্র এবং জাতিসংঘকে সতর্ক করে বলেছেন, ইরানকে বিশ্বাস করলে সেটা হবে চরম বোকামি৷ এ কথা অবশ্য আগেও বলেছেন তিনি৷ নেতানিয়াহু মনে করেন, ইরানের প্রেসিডেন্ট আসলে পরমাণু অস্ত্র পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সময় নেয়ার কৌশল হিসেবেই সম্পর্কোন্নয়নের কথা বলছে৷
এসিবি/এসবি (এএফটি, রয়টার্স)