ইউরোপীয় বর্জ্য যেভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় যায়
১৮ এপ্রিল ২০২৪সম্প্রতি প্রকাশিত জাতিসংঘের প্রতিবেদন বলছে, একদল অসাধু ব্যবসায়ী বৈধ চ্যানেলের ফাঁকগুলোকে কাজে লাগিয়ে ইউরোপ থেকে বর্জ্য মালয়শিয়া, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়াসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে পাচার করছেন৷
সহজে মুনাফা করা যায় বলে এবং আইনের কড়া প্রয়োগ না থাকা বা ধরা পড়লেও খুব অল্প জরিমানায় ছাড় পেয়ে যাওয়ায় তারা এই ব্যবসায় ঝুঁকছেন বলে জানাচ্ছে প্রতিবেদনটি৷
ইউরোপীয় কমিশনের হিসেবে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে রপ্তানি করা ১৫ থেকে ৩০ ভাগ বর্জ্য অবৈধ উপায়ে যাচ্ছে৷ এতে কয়েকশ' কোটি ইউরো মুনাফা করছেন ব্যবসায়ীরা৷
জাতিসংঘ বলছে, ২০১৭ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে আসিয়ান দেশগুলো ১০ কোটি টন ধাতু, কাগজ ও প্লাস্টিক বর্জ্য আমদানি করেছে৷ এর দাম পাঁচ হাজার কোটি ডলার৷
২০১৮ সালে চীন বর্জ্য আমদানি রোধে উদ্যোগ নেয়৷ ফলে বর্জ্যের বড় বাজারটি সরে যায় দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দিকে৷ ইন্দোনেশিয়া সেক্ষেত্রে বিকল্প প্রধান গন্তব্য হিসেবে তৈরি হতে থাকে৷
তবে অবৈধ এই ব্যবসা বন্ধ করা একেবারে অসম্ভব নয় বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা৷ ইটালির ক্যাটোলিকা ডেল সাক্রো কুওরে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক সেরেনা ফাভারিন বলেন, ‘‘সব দেশে একইরকমের আইনের প্রয়োগের জন্য আন্তঃরাষ্ট্রীয় কাঠামোগুলো জোরালো করা দরকার৷ একই রকমের নিয়ম কানুন থাকলে যোগাযোগ করা যেতে পারে৷''
এননো হিনৎস/জেডএ