ইউরোপীয় নীতি সম্পর্কে ম্যার্কেল
১৯ ডিসেম্বর ২০১৩ইউরোপ শক্তিশালী হলে তবেই জার্মানি শক্তিশালী থাকতে পারবে, বলে মনে করেন ম্যার্কেল৷ জার্মান সংসদের নিম্ন কক্ষ বুন্ডেসটাগ-এ দেয়া ভাষণে তিনি ইউরোপীয় সমন্বয় প্রক্রিয়া আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে জার্মানির ভূমিকার উপর জোর দেন৷ নতুন সরকার গঠনের পর প্রথম ভাষণে ইউরোপীয় নীতিকে প্রাধান্য দেয়ার বিষয়টি যে কাকতালীয় নয়, সেটা স্পষ্ট হয়ে গেছে৷ আজকের দিনে অভ্যন্তরীণ ও ইউরোপীয় নীতির মধ্যে বিভাজন-রেখা প্রায় নেই বললেই চলে৷
প্রায় বিশ মিনিটের ভাষণে ম্যার্কেল ইউরোপীয় ইউনিয়নের অগ্রগতি ও দুর্বলতা তুলে ধরেন৷ তাঁর মতে, রাষ্ট্রীয় ঋণ সংকট এখনো পুরোপুরি দূর না হলেও ইতিবাচক সংকেত পাওয়া যাচ্ছে৷ আয়ারল্যান্ড ও স্পেন ইউরোপীয় সহায়তা কর্মসূচি থেকে বেরিয়ে আসছে, যার ফলে তাদের শুভেচ্ছা জানানো উচিত৷ পর্তুগাল, সাইপ্রাস ও গ্রিসেও অগ্রগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে৷ স্থিতিশীলতা ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পথে ইউরোপ কিছুটা অগ্রসর হয়েছে৷ আগামী বছর লাটভিয়া ইউরো এলাকার ১৮তম সদস্য হিসেবে যোগ দিতে চলেছে, যা ইউরোপীয় একক মুদ্রার প্রতি আকর্ষণ আবার স্পষ্ট করে তুলছে, বলেন ম্যার্কেল৷
ইউরোপীয় অর্থনৈতিক ও আর্থিক ইউনিয়নের জন্মলগ্নেই যে সব ত্রুটি রয়ে গিয়েছিল, ম্যার্কেল সেগুলি দূর করার আহ্বান জানান৷ তাঁর মতে, অর্থনৈতিক সমন্বয় আরও দৃঢ় হওয়া উচিত৷ ইউরোপীয় কমিশনের পক্ষ থেকে জাতীয় স্তরে প্রয়োজনীয় কাঠামোগত সংস্কার নিশ্চিত করা উচিত বলে মনে করেন জার্মান চ্যান্সেলর৷ বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ব্রাসেলসে ইউরোপীয় পরিষদের বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হবে৷ তবে ম্যার্কেল মনে করেন, এ ক্ষেত্রে অগ্রগতি ধীর গতিতে হবে৷ চুক্তির মধ্যে রদবদল করা ও কিছু ক্ষমতা নতুন করে বণ্টন করতে হবে, যে কাজে বাধা দিলে চলবে না, বলেন ম্যার্কেল৷