1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউরো ২০২৪ : ট্রেন চলে না সময়মতো, ক্ষমা চাইলো ডয়চে বান

২৭ জুন ২০২৪

ট্রেনে ইউরো ২০২৪-এর ম্যাচের ভেন্যুতে সময়মতো পৌঁছানো যেন সৌভাগ্যের বিষয়৷দেশে-বিদেশে তীব্র সমালোচনার মুখে শেষ পর্যন্ত ক্ষমা চাইলো জার্মানির রেল যোগাযোগ কর্তৃপক্ষ ডয়চে বান৷

https://p.dw.com/p/4hb0d
বার্লিনের ট্র্র্রেন স্টেশনের সামনে ভিড়
ট্রেনে চড়ে ইউরো ২০২৪-এর ম্যাচ দেখতে গিয়ে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে অসংখ্য মানুষছবি: Juergen Engler/nordphoto GmbH/nordphoto GmbH/picture alliance

ডয়চে বান-এর দূরপাল্লার যাত্রা ব্যবস্থাপনা বোর্ডের সদস্য মিশায়েল পেটারসন জার্মানির জনপ্রিয় সংবাদপত্র বিল্ড-কে বলেন, ‘‘ভক্ত, সমর্থকদের অসন্তোষ এবং সমালোচনার কারণ আমরা বুঝতে পারছি৷  সাম্প্রতিক সময়ে ডয়চে বান প্রত্যাশিত মান ধরে রাখতে পারছে না৷'' তবে উন্নত সেবা দেয়ার চেষ্টায় কোনো ত্রুটি নেই- এমন দাবি করে তিনি বলেন, ইউরো ২০২৪-এর সময় ৫০ লাখ যাত্রীকে দ্রুতগামী আইসিই এবং আইসি ট্রেনে সেবা দিচ্ছে ডয়চে বান-এর ১ লাখ ৫০ হাজার কর্মী৷

কিন্তু দেড় লাখ কর্মির অক্লান্ত পরিশ্রম সত্ত্বেও রেল যোগাযোগে ফিরছে না শৃঙ্খলা৷ ইউরোর মতো আসর চলার সময়ে কমছে না যাত্রীদের ভোগান্তি৷ স্টেশনে দেখা যাচ্ছে শত শত যাত্রীর ভিড়৷ সময়মতো আসছে না, সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছাতেও পারছে না ট্রেন৷ ম্যাচে দেরিতে পৌঁছানোর ঘটছে প্রায় নিয়মিত৷ এমনও হয়েছে কষ্ট করে সমর্থকরা মাঠে পৌছে দেখেছেন খেলা শেষ৷

নেদারল্যান্ডসের কোচ রোনাল্ড ক্যোমান ডয়চে বান-এর সেবার মান দেখে খুবই বিরক্ত৷ সোমবার অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ শেষে ১৯৮৮-র ইউরোজয়ী ডাচ দলের খেলোয়াড় জানান, অতীতে ডয়চে বান-এর সেবা এত ভালো ছিল যে ব্যক্তিগত বিমানে না চড়ে তিনি ট্রেনে চড়তেন৷ কিন্তু তার মতে, এখনকার পরিস্থিতি রীতিমতো ভীতিকর, ‘‘ম্যাচ শেষে আমরা ফিরতে পারছি না, কারণ, ভল্ফসবুর্গের দিকে আর কোনো ট্রেনই নেই৷'' নেদারল্যান্ডসের সাবেক ডিফেন্ডার ক্যোমান জার্মানি এবং ডয়চে বান কর্তৃপক্ষকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘জার্মানি দাবি করে তারা টেকসই ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজন করছে, অথচ তারা ব্যবস্থাপনাটাই করতে পারছে না৷''

Deutsche Bahn zur Fußball-EM 2024 | UEFA EURO 2024
ছবি: Deutsche Bahn AG

টুর্নামেন্ট এগিয়ে যায়, ট্রেন পারে না'

নানা দিকে নানা ধরনের খবর আর মন্তব্য ছড়াচ্ছে ডয়চে বানের পরিষেবা নিয়ে৷অস্ট্রিয়ার এক চ্যানেল তুলে ধরেছে ই্উরোর ম্যাচ দেখার জন্য ট্রেনে উঠে বারবার থামা এবং থেমে চলতে প্রায় ভুলে যাওয়া টেনের প্রতি অস্ট্রিয়ার সমর্থকদের বিরক্তি৷ বিরক্তি, হতাশা চরমে পৌঁছে যাওয়ায় কেউ কেউ ‘ডয়চে বান পিছিয়ে পড়েছে' স্লোগান দিচ্ছিলেন, কেউবা গাইছিলেন লুইস আর্মস্ট্রংয়ের গান, ‘হোয়েন দ্য সেইন্টস গো মার্চিং ইন৷'

অন্যান্য চ্যানেলে দেখানো হয়েছে সময়মতো ভেন্যুতে পৌঁছানোর জন্য নির্ধারিত সময়ের অনেক আগে ডাচ সমর্থকদের বার্লিন ট্রেন স্টেশনে অপেক্ষা করতে করতে ক্লান্ত হওয়ার দৃশ্য৷

নিউইয়র্ক টাইমস এক ফিচারের শিরোনাম করেছে, ‘‘জার্মানিতে টুর্নামেন্ট চলে মসৃণভাবে, তবে ট্রেন চলে না৷''

আমরা ব্যর্থ হয়েছি : ফিলিপ লাম

ডয়চে বান-এর দুরবস্থায় জার্মানির সাবেক অধিনায়ক ফিলিপ লামও ক্ষুব্ধ৷জার্মান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (ডিএফবি)-র ইউরো ২০২৪ কমিটির পরিচালক সোমবার ডয়চে বান-এর কঠোর সমালোচনা করে বলেন, ‘‘আমার মনে হয় সাম্প্রতিক কয়েক দশকে পরিকাঠামোর উন্নতিতে সামান্য কাজ করতেও আমরা জাতিগতভাবে ব্যর্থ হয়েছি৷''

শুক্রবার ইউক্রেন-স্লোভানিয়া ম্যাচের ভেন্যুতে যেতে দেরি হয়ে যায় তার৷ তাই রোববার জার্মানির ম্যাচের আগে তিনি লিখেছিলেন, ‘‘প্রিয় ডয়চে বান, রোববার কিন্তু (জার্মান) টিমের সঙ্গে একেবারে ঠিক সময়ে আমাদের ফ্রাঙ্কফুর্টে পৌঁছাতেই হবে৷ আমাদের

বিশ্বাস আমরা তা পারবো৷''

ফিলিপ লামের মনস্কামনা সত্যি সত্যিই পূরণ হয়েছিল সেদিন৷

২০১৪ বিশ্বকাপজয়ী জার্মান দলের অধিনায়ক জানিয়েছেন, ডিএফবি এবং ডয়চে বান ইউরো ২০১৪-এর দর্শকদের সেরা সেবা নিশ্চিত করার জন্য এখন সব চেষ্টাই করছে প্রবলভাবে ৷ তবে তিনি মনে করেন, এ চেষ্টা অনেক আগেই করা উচিত ছিল৷

মার্ক হালাম/ এসিবি