আরো বড় ভূমিকম্পে বাঁচবে কিভাবে ঢাকা?
ভূমিকম্পে আবারো কেঁপে উঠেছিল বাংলাদেশ৷ ৬ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে এ পর্যন্ত পাঁচজন মারা গেছেন৷ ক্ষয়ক্ষতি কম হলেও রাজধানী ঢাকার ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন রেখে গেছে সোমবার ভোরের এই ভূমিকম্প৷
আতঙ্কেই মারা গেছেন পাঁচজন
ভোর ৫টার দিকে শুরু হয় ৬ দশমিক ৭ মাত্রার এই ভূমিকম্প৷ প্রচণ্ড ঝাঁকুনিতে ঘর-বাড়ি কেঁপে ওঠায় ঘুম থেকে উঠেই ঘর ছাড়ার চেষ্টা করে অনেক মানুষ৷ এ সময় আতঙ্কে ঢাকা, জামালপুর, রাজশাহী, পঞ্চগড় ও লালমনিরহাটে পাঁচজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে৷ ছবিতে সন্তান হারানো এক নারীর কান্না৷
আহত শতাধিক
ভূমিকম্পে আহত হয়ে ২৯ জন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ এবং ৩২ জন সিলেট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম জানিয়েছে৷ সারা দেশে শতাধিক বলে অনুমান করা হচ্ছে৷
আতঙ্কে পাঁচ তলা থেকে লাফ
নিহতদের সবাই-ই আতঙ্কে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বলে চিকিৎসক এবং নিহতদের স্বজনরা জানাচ্ছেন৷ আতঙ্কে কেউ কেউ ভবন থেকে ঝাঁপিয়েও প্রাণ রক্ষার চেষ্টা করেন৷ ঢাকায় আহতদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীও রয়েছেন৷ তাঁদের মধ্যে একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যাদলয়ের সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের পাঁচতলা ভবনের ছাদ থেকে এবং পাঁচজন মহসিন ও কবি জসিম উদ্দীন হলের দোতলা থেকে লাফিয়ে পড়ে আহত হন৷
ভয়ংকর ঝুঁকির মুখে ঢাকা
ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা শহরের অন্তত ৭২ হাজার ছোট-বড় ভবনের ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কায় রয়েছে৷ এ অবস্থায় ভূমিকম্পে অনেকের আতঙ্কিত হওয়াই স্বাভাবিক৷
ভূমিকম্প মোকাবেলার প্রস্তুতি নেই
ভূমিকম্পের পরে উদ্ধারকাজ সুষ্ঠুভাবে না হলে ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপকতা বাড়ে৷ সুষ্ঠু উদ্ধার কাজের জন্য সুষ্ঠু পরিকল্পনা, তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের সমন্বিত প্রয়াস ও যুগোপযোগী নীতিমালা থাকা দরকার৷ এ সব অনেকাংশে থাকলেও মাঠপর্যায়ে এগুলোর প্রয়োগ ও চর্চা নেই৷
তাহলে বিপর্যয় রোখার উপায়?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢাকায় বড় রকমের ভূমিকম্প হলে ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা ভয়াবহ হতে পারে৷ পরিকল্পনাহীন ভবন ও রাস্তাঘাট, ঘনবসতি, উদ্ধার কাজে ফায়ার সার্ভিসের বিশেষায়িত মহড়ার অভাবের কারণেই এমন আশঙ্কা তাঁদের৷