আরবদুনিয়ার সাহায্যের আশায় হামাস
১১ এপ্রিল ২০০৬�ারীভাবে৷
আরব আর মুসলিম দুনিয়ায় জোরদার প্রতিবাদ আন্দোলন চালানোর জন্য সচেষ্ট হয়ে উঠেছে হামাস৷ চরম আর্থিক সংকটের মধ্যে পড়া প্যালেস্টাইন প্রশাসনকে সাহায্য করতে যাতে আরব এবং মুসলিম দেশগুলি এগিয়ে আসে অবিলম্বে, এইসব প্রতিবাদ আন্দোলন সে কারণেই সংঠিত করা হবে বিভিন্ন দেশে৷ রামাল্লায় গতকাল হামাসের এক শীর্ষস্থানীয় নেতা ফারহাট আসাদ সংবাদসংস্থা এ পি কে এই তথ্যটি জানিয়েছেন৷ প্রসঙ্গত, হামাস প্যালেস্টাইনে নির্বাচনে জিতে ক্ষমতাদখলের পর থেকে প্রথমে ইজরায়েল এবং পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আর ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্যালেস্টাইনকে যাবতীয় অর্থসাহায্য বন্ধ করে দেওয়ায় রীতিমত বিপাকে পড়ে যাওয়া প্যালেস্টাইন প্রশাসন আরবদুনিয়ার কাছে সহায়তা প্রার্থনা করে৷ প্রাথমিকভাবে আরবদেশগুলি প্যালেস্টাইনকে সাহায্য করবে বলে প্রতিশ্রুতি দিলেও এখনও তারা তেমন কোনো উদ্যোগ দেখায় নি৷ বর্ত্তমানে প্যালেস্টাইন প্রশাসনের আর্থিক ঘাটতি চরমে চলে যাওয়ায় এমনকি প্রশাসনিক কর্মচারীদের বেতন দেবার মতো অবস্থাতেও তারা নেই৷ প্যালেস্টাইনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস গতকাল আর্থিক ঘাটতির তীব্রতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন৷ হামাস নেতা ফারহাট সংবাদসংস্থা এ পি কে জানান, আরব দেশগুলি যাতে তাদের ভান্ডার প্যালেস্টাইনের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়, সেদিকে লক্ষ্য রেখেই তারা এখন ওইসব দেশের অভ্যন্তরে রাজনৈতিক আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করার উদ্যোগ নিচ্ছে৷
হামাস নেতা ফারহাট দাবি করেন, কয়েদিনের মধ্যেই গোটা বিশ্ব দেখবে কতদূর তীব্র হতে পারে প্যালেস্টাইনের সমর্থনে আন্দোলন৷
ওদিকে, মধ্যপ্রাচ্যের অন্যপ্রান্তে আরিয়েল শারোণ জমানার অবসান ঘটিয়ে শুরু হল এহুদ ওলমার্টের শাসনকাল৷ ইজরায়েলের সাম্প্রতিক নির্বাচনে বিজয়ী কাদিমা নেতা এহুদ ওলমার্ট এতদিন পর্যন্ত অস্থায়ী প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বভার পালন করে আসছিলেন৷ নির্বাচনের মুখে জানুয়ারী মাসে আরিয়েল শারোণ অকস্মাত্ অসুস্থ হয়ে পড়ার পর থেকে ওলমার্ট অস্থায়ী প্রধানমন্ত্রী পদে বৃত হন৷ নতুন সরকারের গঠন চূড়ান্ত হয়ে যাওয়ায় অবশেষে ওলমার্টকে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে সরকারীভাবে ঘোষণা করা হয় গতকাল৷ তবে তিনি সরকারীভাবে দপ্তরের দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন আগামী ১৪ই এপ্রিল৷ নতুন যে জোট সরকারের নেতৃত্ব দেবেন ওলমার্ট, তাতে শারোণ প্রতিষ্ঠিত কাদিমার সঙ্গে থাকছে মধ্য বামপন্থীরাও৷ নির্বাচনের ফলাফলে তাদের অবস্থান ছিল দ্বিতীয় স্থানে৷ এহুদ ওলমার্টের সামনে আপাতত অধিকৃত ওয়েস্ট ব্যাঙ্ক থেকে ইহুদি বসতি উচ্ছেদের কাজটিই বড় চ্যালেঞ্জ৷ তবে আরিয়েল শারোণের পন্থাবলম্বী ওলমার্ট এই কাজে সাফল্য পাবেন বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা৷
সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়