1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য বই কেনা প্রসঙ্গে আলী ইমাম মজুমদার

সুলাইমান নিলয় ঢাকা
২ সেপ্টেম্বর ২০২২

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ডিসি, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসাবে দায়িত্ব পালন শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার এখন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের সেক্রেটারি জেনারেল৷

https://p.dw.com/p/4GMhS
আলী ইমাম মজুমদার
মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদারছবি: DW/S. Hossain

সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য সরকারি অর্থে বই কেনা প্রসঙ্গে কথা বলেছেন ডয়চে ভেলের সাথে৷

ডয়চে ভেলে: আপনাদের আমলে সরকারি অফিসের বিভিন্ন পর্যায়ে পড়াশোনার কী রকম ব্যবস্থা ছিল?

আলী ইমাম মজুমদার: সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একটা বিশাল লাইব্রেরি বহু আগে থেকেই ছিল৷ আমরা  (সত্তরের দশকে) চাকরিতে ঢোকার পরই দেখছি৷ এরপরেও ছিল৷ এখানে প্রচুর বইপত্র ছিল৷ ডিসি অফিসগুলোতেও বইয়ের ছোটখাট লাইব্রেরি ছিল৷ সেখানে মূলত ছিল ডিস্ট্রিক্ট গেজেটিয়ার বা কাজে লাগার মতো বই৷ সরকারি পাবলিক লাইব্রেরি তো প্রতি জেলায় বহু আগে থেকেই ছিল, পাকিস্তান আমল থেকেই ছিল৷ বাংলাদেশ আমলে আরো সমৃদ্ধ হয়৷

সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য বই কিনতে কোন বিষয়কে প্রাধান্য দেয়া উচিত?

দুই ধরনের বইয়ের কথাই বলেছি৷ জেলায় সকলের জন্য কমন লাইব্রেরিও আছে৷ আর সরকারি অফিসগুলোতে সরকারি কাজকর্মের সহায়ক বইয়ের কালেকশন নিয়েও লাইব্রেরি আছে৷ সেই লাইব্রেরিতে কাজকর্মের জন্য সহায়ক বইপত্রই প্রাধান্য পাওয়া উচিত৷ সরকারি কর্মচারিরা বই পড়তে চাইলে, কারো কারো শখ আছে, কেউ কেউ ভালো লেখকও আছে, তারাও পড়তে চাইলে সরকারি (অফিসের) লাইব্রেরির উপর নির্ভরশীল থাকার কারণ ছিল না৷ জেলায় লাইব্রেরি থাকে, বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে লাইব্রেরি থাকে, ব্যক্তিগত পাঠাগার থাকে…

‘সরকারি অফিসে বই কেনার ক্ষেত্রে প্রাধান্য পাবে সরকারি আইন কানুন বিধি-বিধান সংক্রান্ত বই বা গবেষণা সংক্রান্ত বই’

কাজের জন্য যে বইপত্রের কথা বললেন,  সেই রকম বই কি আমাদের সরকারি অফিসগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণে আছে?

সবখানে নেই৷ ডিসি অফিসগুলোতে আছে৷ ধরেন, আইনের বই৷ সরকারি অফিসাররা তো আইন প্রয়োগ করে৷ তাই সেখানে আইনের বই লাগবে৷ জমিজমা বিষয় সম্পত্তি সংক্রান্ত আইন, প্লাস জেলার ইতিহাস থেকে আরম্ভ করে নানা বিষয় জানতে হলে ডিস্ট্রিক্ট গেজেটিয়ার বা এ সংক্রান্ত বিষয়গুলো লাগবে৷ এগুলো কিন্তু আমি ডিসি অফিসগুলোতে সমৃদ্ধ দেখেছি, বইগুলো আছে৷

বিভিন্ন আইনের কালেকশন৷ এখন তো ধরেন আমরা চট করে গুগলে গিয়ে একটা আইন দেখে নিতে পারছি৷ আমাদের চাকরি জীবনে এটা ছিল না৷ যখন আমরা ডিসি ছিলাম৷ তখনও কিন্তু এই সুযোগ ছিল না৷ তখন দেখা যেতো, একটা অস্ত্র আইন সংক্রান্ত ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া দরকার, তখন কিন্তু আর্মস অ্যাক্ট লাইব্রেরি থেকে বের করতে হয়েছে৷ বের করে পড়তে হয়েছে৷

এটা কি চাহিদার আদর্শ অবস্থার সাথে মিল রেখে তৈরি করা হয়েছে?

এটা চাহিদার সাথে মিল রেখেই তৈরি করা হয়েছে৷ ক্ষেত্রবিশেষে ব্যক্তির শখ থাকে৷ কেবিনেট ডিভিশনের লাইব্রেরিতে আমি দেখলাম, আকবর আলী খানের বই৷ আমি নিজেই এনে পড়েছি৷ যিনি এটা কালেক্ট করেছেন, তার আমি প্রশংসাই করি৷ এটা নির্ভর করে যিনি কালেক্ট করছেন, যার সময়ে কালেক্ট করা হয়েছে, তার উপর৷ সাধারণত অধিকাংশ বই আইন-কানুন বিধি-বিধান সংক্রান্ত৷

সরকারি কর্মকর্তারা বিশেষ করে অ্যাডমিন ক্যাডাররা নানা রকমের বিশেষায়িত কাজের সাথে থাকেন, তাদের যদি বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য হঠাৎ করে বিশেষায়িত জ্ঞান দরকার হয়, সেটা (পাওয়ার ব্যবস্থা) কি ডিসি অফিসে থাকে? উপজেলা পর্যায়ে বা অন্যান্য সরকারি অফিসেও একইভাবে বই থাকে?

উপজেলা পর্যায়ে অতটা নাই৷ জেলা পর্যায়ে কিন্তু আইন কানুন বিধি-বিধানের বই আছে৷ এছাড়াও প্রশাসনের লোকদের জীবন আচারে তাদের আইন কানুন বিধি-বিধান নিয়েই জীবন কাটাতে হয়৷ তাদের মধ্যে কিন্তু বহু নামকরা লেখক ছিলেন৷ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, নবীনচন্দ্র সেন; সর্বশেষ হাসনাত আব্দুল হাই, কামাল নাসের চৌধুরী-একুশে পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তি৷ এই জাতীয় লোক কিন্তু আছে আমাদের৷

প্রশাসন তাদেরকে কোনোভাবে সহায়তা করেছেন, এটা না৷ তারা নিজেদের গুণাবলী দ্বারা সমৃদ্ধ হয়েই এগুলো করেছেন৷ আমি তাদের প্রশংসা করি৷ তবে সরকারি অফিসে বই কেনার ক্ষেত্রে প্রাধান্য পাবে সরকারি আইন কানুন বিধি-বিধান সংক্রান্ত বই বা গবেষণা সংক্রান্ত বই৷

আপনি যদি পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের কথা বলেন, এখানে আইন কানুন বিধি-বিধান ছাড়াও আমাদের রিভার সিস্টেম সম্পর্কে কোন একটা বই যদি কোন বিদেশি-দেশি লেখক লেখেন, কোনো লেখকের যদি গবেষণাধর্মী কোনো বই থাকে, সেটা কিন্তু ভালো, সেটার দরকার হয়৷

এখনকার আলোচনা শুরু হয়েছে একজন লেখককে দিয়ে, যিনি বইয়ের একটি তালিকা প্রণয়নের সাথে ছিলেন এবং নিজের ২৯টি বই সেই তালিকায় স্থান দিয়েছেন৷ এটা তো কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট৷ এ বিষয়ে আপনি কোনো মন্তব্য করতে চান?

আমি এই বিষয়ে অন্যান্য সংবাদমাধ্যমের সাথেও কোনো মন্তব্য করিনি৷ এখনো করবো না৷ তবে আমি যেটা বলবো, সেটা কিন্তু কাউকে ডিফেন্ড করার জন্য বলবো না৷ যারা বিভিন্ন লাইব্রেরিতে বই কেনা বা বিতরণের সাথে আছেন, এই প্রবণতাটা কিন্তু তাদের মধ্যেও আপনি ব্যাপকভাবে দেখবেন৷ এটা আপনি দুঃখজনকভাবে দেখবেন যে, বিশেষ এক শ্রেণির  বই এখানে ‘স্তূপীকৃত' করে রাখা আছে৷ এর প্রয়োজন আছে কি নেই, তার কথা নাই৷ ওই সব লাইব্রেরিকে কিনতে বাধ্য করা হয়৷

আমাদের জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের মাধ্যমে যে সব বই বিতরণ করা হয়, সেগুলো পাঠকের চাহিদার সাথে কতটা সঙ্গতিপূর্ণ তা যাচাই বাছাই করা হয় না৷ নামের উপরেই অনেকে চালানো হয়৷ এ ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করা আমার পক্ষে ঠিক হবে না৷ আমি করবোও না৷

নিজের বই মানসম্মত হলেও কি কেউ সেই বই ক্রয়ের জন্য নিজে প্রস্তাব করতে পারে?

এসব মানসম্মত কি মানসম্মত না, সেটা নয়৷ এসব বই কেনার জন্য কমিটি থাকা উচিত৷ কারো যদি নিজের বই উঁচু মানের হয়৷ এখানে একজনের ২৯টা বই নেয়া হয়েছে, সেখানে অবশ্যই  কথা হবে, সমালোচনা হবে৷ একটা বা দুইটা বই নিলে এই কথা আসতো না৷

বাংলাদেশে মাঝে মধ্যেই এটা দেখা যায় যে, ‘কেউ এমন ক্ষমতার জায়গায় গেলে যেখানে গিয়ে অন্যদেরকে সুবিধা বা চাকরি পাইয়ে দিতে পারে, তাহলে তিনি আত্মীয়-স্বজন বা পরিচিতদের সেই সুবিধা পাইয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন৷ কেউ এটা না করলে তখন অন্যরা বলে, উনি বড় জায়গায় গিয়ে আমাদেরকে দেখেশুনে রাখে না৷' এই কালচারকে আপনি কীভাবে দেখেন?

আমরা যারা এটা করি নাই, তারা কিন্তু তাদের আপনজনদের কেউ মনে করে স্বার্থপর, কেউ মনে করে অপদার্থ লোক৷ তারা বিষয়টাকে এভাবে দেখে যে, ক্ষমতা যখন ছিল, তখন গিয়েছিলাম, কিছু করে নাইতো৷

এভাবে ব্লেম করার কালচারটা কীভাবে গড়ে উঠলো?

এটা সমাজ সম্পর্কে যারা গবেষণা করেন, তারা বলতে পারবেন৷ আমার মনে হয়, নতুন জাগ্রত মধ্যবিত্ত শ্রেণি হঠাৎ বড়লোক হওয়ার আকাঙ্ক্ষা থেকে এই জিনিসগুলো গড়ে উঠে৷ কারণ, মাধ্যবিত্ত শ্রেণির প্রত্যাশা অনেক বেশি৷ সেই তুলনায় সুযোগ-সুবিধা কম৷

আমাদের সরকারি কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণে কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্টের বিষয়গুলো কি আসে বা রাজনীতিতেও যারা বিভিন্ন দায়িত্বে আসেন, তাদেরকে কি এ সম্পর্কে প্রয়োজনীয় ধারণা বা প্রশিক্ষণ দেয়া হয়?

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এটা (বই কেনার আলোচিত তালিকা) বাতিল করেছে৷ এটা নিয়ে পত্রিকায় লেখালেখি হয়েছে৷ যেগুলো পত্রিকাতে লেখালেখি হয় না যে, ‘শুধু এক ধরনের বই কত বিলিবণ্টন করা হচ্ছে৷’ আপনি বুঝে নিতে চেষ্টা করবেন, আমি উল্লেখ করতে যাবো না৷ সেগুলো লাইবেরির ভেতরে পড়ে থাকে৷ কেউ পড়েও না৷ ওটাও তো সরকারি টাকার অপচয়৷

আমি বলতে চেয়েছিলাম, জেনারেলি কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্টের প্রয়োগ ও এখানে কী কীভাবে সতর্ক থাকা যায়….

এখানে কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট পাবেন না৷ ইউনিভার্সিটির হলগুলো ছাত্রলীগ দখল করে রাখছে৷ ইউনিভার্সিটির প্রশাসনও এদের সাথে কথা বলতে সাহস করে না৷ সিট দেয় তারা৷ এখানে কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট তো বলা যাবে না৷ বরং দেখা যাচ্ছে, তারা গায়ের জোরে আরেকটা প্যারালাল প্রশাসন চালু করেছে৷ পত্রপত্রিকায় দেখা যাচ্ছে৷

কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট বলতে আগে আমি যেটা বলছিলাম, কেউ চেয়ারে থাকলে নিজের কাউকে সুবিধা দেয়ার চেষ্টা করেন, এটা যারা দেন, তারাও এনজয় করেন, যারা নেন, তারাও এনজয় করেন৷ এটাকে তারা উচিতই মনে করেন৷ যিনি যে ব্যবসা করছেন, তিনিই সেই ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয়ে সরকারি নীতিগত সিদ্ধান্ত নেন৷

হ্যাঁ, তাকে মন্ত্রী করা হয়েছে৷ তাকে বাণিজ্যমন্ত্রী করা হয়েছে৷ উনি একজন ব্যবসায়ী৷ যাকে অর্থমন্ত্রী করা হয়েছে, উনি একজন ব্যবসায়ী৷ ব্যবসার সাথে সংশ্লিষ্ট যারা, তারা ব্যবসা-বাণিজ্য সংক্রান্ত সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন৷

লাইব্রেরিতে যদি ফিরি৷ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বড় বড় লাইব্রেরি আছে৷ অনেকে মনে করেন, বাংলাদেশে এরকম বড় বড় লাইব্রেরি হওয়া উচিত ছিল৷ এই বিষয়কে আপনি কীভাবে দেখেন?

এটা দেরি হয়ে গেছে৷ এখন বই জিনিসটাই আস্তে আস্তে চলে যাচ্ছে অনলাইনে৷ পড়ার ব্যপারটা চলে যাচ্ছে অনলাইনে৷ এখানে পাশ্চাতের সাথে তুলনা করে যদি বইয়ের ভান্ডার বাড়াতে যান, তাহলে কতটা লাভ হবে… তা সত্ত্বেও বাড়ানো উচিত৷ মানসম্মত বইয়ের দিকে নজর দেয়া উচিত৷ একটা ডিপার্টমেন্ট বই কিনেছে, ওই দিকেই সবাই ঝাঁপিয়ে পড়েছেন৷ ভালো কথা৷ ভালো জিনিস পয়েন্ট আউট করেছেন৷ সরকার কিন্তু কয়েক শ কোটি টাকার বই প্রতি বছর বিলি করে৷ সেই বইগুলো কী, কাদের লেখা, কী বিষয়? একই বিষয়ে লেখা শত শত বই দেয়া হচ্ছে প্রতি বছর৷ বিভিন্ন লেখকের লেখা বা  একই লেখকের লেখা৷

আপনি যেটা বললেন, লাইব্রেরির বিষয়টা দেরি হয়ে গেছে৷ তার মানে কি আপনি এখন অনলাইন লাইব্রেরির কথা বলছেন?

আমাদের বর্তমান অনলাইন জগত তো আমাদের প্রিন্ট মিডিয়াকে সাইডলাইনে নিয়ে যাচ্ছে৷ এটা আমরা নিউজ পেপারেও দেখছি৷ এটা লাইব্রেরির ক্ষেত্রেও আমরা দেখছি৷ যদিও আমি অনলাইনে খুব একটা পটু লোক না৷ নবিশ লোকই বলতে পারেন৷ এখন আমার আর অফিসিয়াল কাজে দরকার হয় না৷ কিন্তু বিভিন্ন লেখালেখির জন্য যখন দরকার হয়, তখন গুগল করে নেয়াই সহজ মনে হয়৷ যদিও এর অনেক দলিল আমার কাছে আছে৷

এখন যদি তাহলে আমরা একটা লাইব্রেরি করতে চাই, আইন যেমন আমরা একটা ওয়েবসাইটে নিয়ে এসেছি, বিডি লজে৷ আমাদের লাইব্রেরিটাও কি এ রকম অনলাইন করে নিয়ে আসা উচিত?

এটা বিরাট ব্যাপার৷ বিরাট স্টাডি করে গবেষকরা এটা বলতে পারবেন৷ এত আরলি মন্তব্য করা ঠিক হবে না৷ হার্ড কপিরও দরকার আছে৷ কারণ, সফট কপি দীর্ঘক্ষণ পড়া যায় না৷ বিরাট লম্বা রিপোর্ট পড়া যায় না৷ আমি পারি না অন্ততপক্ষে৷

সুলাইমান নিলয়
সুলাইমান নিলয় বর্তমানে উন্নয়ন পেশাজীবী হিসেবে কাজ করছেন৷ তার আগে দীর্ঘদিন আইন সাংবাদিকতায় যুক্ত ছিলেন৷
স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য