1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আন্ত-ফিলিস্তিনি সমঝোতা চুক্তি বাতিল করলো হামাস

১৬ অক্টোবর ২০০৯

মিশরের উদ্যোগে হামাস এবং ফাতাহ’র মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর ও গাজায় একটি নিরাপত্তা বাহিনী নিয়োগের ডাক দেওয়া হয়৷ কিন্তু চুক্তিতে ইসরায়েলি দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের অধিকারের বিষয়টি নিশ্চিৎ করতে চায় হামাস৷

https://p.dw.com/p/K7GA
ছবি: AP

মিশর প্রস্তাবিত চুক্তিতে, মিশর এবং আরব নিরাপত্তা কর্মকর্তারা গাজায় অবস্থিত ঐ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেবেন৷ এছাড়া, একটি যুগ্ম পরিষদ গাজার হামাস সরকার এবং পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনি সরকারের মধ্যে সমন্বয় রাখবে বলে জানা গেছে৷ এদিকে শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, উগ্রবাদী গোষ্ঠী হামাস সমঝোতা চুক্তিটি আপাতত বাতিল করলেও, তা আবারও খুঁটিয়ে দেখার জন্য সময় চেয়েছে৷

প্রসঙ্গত, ফাতাহ আন্দোলনের নেতা ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ইতিপূর্বেই মিশরের এই প্রস্তাব গ্রহণ করেন৷ কিন্তু, সম্প্রতি হামাস নেতা মেশাল সরাসরি পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রতি ইসরায়েলি সরকারের সঙ্গে নিরাপত্তা সহযোগিতা বন্ধ করে, জবরদখলের বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধের জন্য আরো বেশী মনোযোগ দেওবার আহ্বান জানিয়েছেন বলে জানা গেছে৷

এছাড়া, মিশর প্রদত্ত প্রস্তাবে ২০১০ সালের জুন মাসে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট এবং সংসদীয় নির্বাচনের আহ্বান জানানো হয়েছে বলে প্রকাশ৷ এর আগে, হামাস প্রধান খালেদ মেশাল ‘‘বাস্তবিক ফিলিস্তিনি ঐক্য'' এবং আন্ত-ফিলিস্তিনি সমঝোতা ত্বরাণ্বিত করার ডাক দেন৷

Auseinandersetzungen zwischen Hamas und Fatah in der Westbank
পশ্চিম তীরের দুরা গ্রামের অদূরে এক ইসরায়লি সেনাছবি: AP

অন্যদিকে গাজায় ইসরায়েলি সেনাদের যুদ্ধাপরাধ সংক্রান্ত জাতিসংঘের অভিযোগের বিশ্বাসযোগ্য তদন্তের জন্য, পশ্চিমের মিত্রদেশগুলির চাপের মুখে পড়েছে ইসরায়েল৷ যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এবং ফ্রান্স জানিয়েছে, ইসরায়েলের উচিৎ, দক্ষিণ আফ্রিকার বিচারক রিচার্ড গোল্ডস্টোনের প্রতিবেদনটি তদন্ত করে দেখা৷ জাতিসংঘের মহাপরিচালক বান কি-মুনেরও ঐ একই বক্তব্য৷ দৃশ্যত, গোল্ডস্টোন গতমাসে গাজায় যুদ্ধাপরাধ বিষয়ক প্রতিবেদনটি জমা দিয়েছিলেন৷ ৫৭৫ পৃষ্ঠার ঐ প্রতিবেদনটিতে, গাজায় ডিসেম্বর-জানুয়ারি'র আগ্রাসনে ইসরায়েলি বাহিনী ও ফিলিস্তিনি বিদ্রোহী গ্রুপ হামাস - উভয়পক্ষই যুদ্ধাপরাধ করেছে বলে উল্লেখ করেন গোল্ডস্টোন৷ যদিও, ইসরায়েল এবং হামাস - দু'পক্ষই এই অভিযোগ নাকচ করে দেয়৷

উল্লেখ্য, জাতিসংঘে নিয়োজিত মার্কিন উপরাষ্ট্রদূত আলেজান্দ্রো ভল্ফ বলেন, প্রতিবেদনটিতে ইসরায়েলের প্রতি ভারসাম্যহীন দৃষ্টিপাত করায়, ওয়াশিংটন অত্যন্ত উদ্বিগ্ন৷ কিন্তু তারপরও, প্রতিবেদনটি ইসরায়েলের খতিয়ে দেখা উচিৎ বলে মন্তব্য করেন ভল্ফ৷ একইসঙ্গে হামাস সম্পর্কে ভল্ফ বলেন, হামাস একটি ‘সন্ত্রাসী সংগঠন'৷ তাই তারা কোনদিনই নিজেদের আচরণ তদন্ত করে দেখতে ইচ্ছুক হবে না৷

প্রতিবেদক: দেবারতি গুহ

সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়