আইফোন, অ্যান্ড্রয়ডের পর এবার প্লে-স্টেশনের তথ্য ফাঁস
২৭ এপ্রিল ২০১১আধুনিক জীবনযাত্রার সঙ্গী হয়ে উঠছে স্মার্টফোন৷ তার অনেক গুণাগুণ৷ তবে মালিকের জন্য এত কাজ করতে হলে মালিকের হাঁড়ির খবরাখবরও জানা দরকার৷ তিনি কোথায় যান, কী করেন, কতক্ষণ থাকেন – এই সব খবর জমা হয় তার ছোট্ট মস্তিষ্কে৷ শুধু মস্তিষ্কে জমা থাকলেও না হয় মেনে নেওয়া যেত৷ কিন্তু স্মার্টফোন সেই তথ্য পাঠিয়ে দেয় আসল ‘প্রভু' – অর্থাৎ কোম্পানির কাছে৷ অবশ্যই মালিককে না জানিয়ে৷ অ্যাপল'এর আইফোন ও গুগলের ‘অ্যান্ড্রয়ড' হাতেনাতে ধরা পড়েছে৷ মার্কিন কর্তৃপক্ষ এবার অ্যাপল ও গুগল
'কে গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য পাচার সম্পর্কে জবাবদিহি শোনার জন্য তলব করেছে৷ এর মধ্যে তাদের বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে৷ অনুমান করা হচ্ছে, অ্যাপল ও গুগল
'এর পাশাপাশি আরও অনেক সংস্থা অবৈধভাবে গ্রাহকদের সম্পর্কে ব্যক্তিগত তথ্য জমা করে চলেছে৷
এবার ‘প্লে-স্টেশন' ভিডিও গেমসের স্রষ্টা সোনির বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ উঠেছে৷ অনলাইনে যারা এই খেলার নেটওয়ার্কে অংশ নেন, তাদের নাম, ঠিকানা এবং সম্ভবত ক্রেডিট কার্ড সংক্রান্ত তথ্যও চুরি হয়ে গেছে৷ ব্যবহারকারীদের সংখ্যাও কম নয়৷ এই মুহূর্তে প্লে-স্টেশন নেটওয়ার্কে প্রায় ৭ কোটি ৭০ লক্ষ অ্যাকাউন্ট রয়েছে৷ সোনি জানিয়েছে, গত ১৯শে এপ্রিল নিরাপত্তার এই ফাটল ধরা পড়ে৷ সঙ্গে সঙ্গে নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দেওয়া হয়৷ কিন্তু গ্রাহকদের আসল কারণ জানানো হয় নি৷ মঙ্গলবার জাপানের বাজারে প্রথম ট্যাবলেট পিসি চালু করার কয়েক ঘণ্টা পর সোনি নিরাপত্তার গাফিলতির বিষয়টি স্বীকার করে৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্লে-স্টেশন ব্লগে সোনি জানায়, কোনো এক ব্যক্তি বে-আইনি ভাবে ও বিনা অনুমতিতে নাম, ঠিকানা, ই-মেল ঠিকানা, জন্ম তারিখ, ইউজার নেম, পাসওয়ার্ড সহ অনেক তথ্য জোগাড় করেছে৷ কয়েক দিন ধরে নেটওয়ার্কে তদন্ত চালানোর পর সংকটের স্বরূপ বেরিয়ে এসেছে৷
এই খবর শুনে সোনির গ্রাহকরা বিস্মিত৷ সোনির মতো বিশাল কোম্পানির হাতে গ্রাহকদের ব্যক্তিগত তথ্য নিরাপদ নয়, এটা জেনে তারা মর্মাহত৷ তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, এতকাল হ্যাকাররা শুধু গ্রাহকদের কম্পিউটারে হামলা চালাতো৷ ইদানিং তারা সরাসরি বড় সংস্থাগুলির ডেটাবেসকে শিকারের লক্ষ্যবস্তু করছে৷ একবার তথ্যভাণ্ডারের নাগাল পেলে তাদের হাতে যে পরিমাণ তথ্য চলে আসছে, তাতে তারা খুবই সন্তুষ্ট৷ সংস্থাগুলি সাবধান না হলে আরও এমন হামলা এড়ানো সম্ভব হবে না৷
প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল ফারূক