‘অ্যাংগ্রি বার্ডস'
৩০ জানুয়ারি ২০১৪আবার মুখ খুলেছেন এডোয়ার্ড স্নোডেন৷ বলেছেন, ‘অ্যাংগ্রি বার্ডস' থেকে শুরু করে মোবাইল ফোনের নানা অ্যাপ-এ সংরক্ষিত তথ্য সংগ্রহ করে চলেছে অ্যামেরিকার এনএসএ এবং ব্রিটেনের জিসিএইচকিউ গোয়েন্দা সংস্থা৷ সোমবার বেশ কয়েকটি সংবাদপত্রে বিষয়টি ফলাও করে প্রকাশ করা হয়েছে৷
এমন দাবি শুনে মনে প্রশ্ন উঠতে পারে, ঠিক কী ধরনের তথ্য অ্যাপ-এর মধ্যে ভরা থাকে? ‘অ্যাংগ্রি বার্ডস' তো মনোরঞ্জনের একটি গেম৷ কার কত স্কোর হলো তা জেনে গোয়েন্দা সংস্থার লাভ কী? বিশেষজ্ঞরা এই প্রশ্নের নানা রকম ব্যাখ্যা দিচ্ছেন৷ তাতে বোঝা যাচ্ছে, স্মার্টফোন ব্যবহারকারী হিসেবে অনেক মানুষ ব্যক্তিগত তথ্য সম্পর্কে কত কম সচেতন৷
যেমন এসএমএস-এর মাশুল না গুনে অনেকেই ‘হোয়াটসঅ্যাপ' নামের অ্যাপ ব্যবহার করেন৷ এমন সব অ্যাপ টেলিফোনের অ্যাড্রেস বুক থেকে পরিচিতদের সম্পর্কে তথ্য টেনে নেয়৷ না করতে দিলে অ্যাপ কাজই করবে না৷ টেলিফোনের জিপিএস চিপ কাজে লাগিয়ে আজকাল অনেক অ্যাপ ‘লোকেশন' জানতে চায়৷ অর্থাৎ কোথায় গিয়ে কার সঙ্গে কী তথ্য-বিনিময় করছি, সে সব খবর নিমেষের মধ্যে বাইরে চলে যায়৷ এভাবে মোবাইল ফোনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অনেক তথ্য পাচার করা সম্ভব৷ যেমন সেটিং-এ গিয়ে অ্যাপ জেনে নেয়, কোন মোবাইল নেটওয়ার্ক চালু আছে, কোন ওয়েবসাইট দেখা হয়েছে, কোন ফাইল ডাউনলোড করা হয়েছে৷ এ সব তথ্যের ভিত্তিতে ব্যবহারকারী সম্পর্কে একটা ধারণা পাওয়া যেতে পারে৷
বলাই বাহুল্য, গোয়েন্দা সংস্থাগুলি এমন সব অভিযোগ সম্পর্কে সরাসরি মুখ খুলতে নারাজ৷ তাদের একই বক্তব্য – নিরাপত্তার স্বার্থে আইন-কানুন মেনেই কাজ করে তারা৷ তবে এক হাতে তো আর তালি বাজে না! যারা অ্যাপ তৈরি করে, তারাই তো সংগৃহীত তথ্য গোয়েন্দা সংস্থার হাতে তুলে দিচ্ছে – অথবা সেটা করতে বাধ্য হচ্ছে৷ ‘অ্যাংগ্রি বার্ডস'-এর স্রষ্টা গুগল ও রোভিও এন্টারটেনমেন্ট লিমিটেড-ও অভিযোগ সম্পর্কে এখনো মুখ খোলেনি৷
এসবি/ডিজি (ডিপিএ, এপি)