দৌরাত্ম্য বাড়ছেই
৯ মার্চ ২০১৪গার্টনার কনজিউমার টেকনোলজিস-এর গবেষণা পরিচালক ব্রায়ান ব্লাও বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, কম্পিউটারের আদি যুগ থেকে গ্রাফিকস ডিজাইন যখন থেকে শুরু হল, ঠিক তখন থেকেই শুরু হলো ভিডিও গেমস তৈরি৷ মানুষ এসব গেমস খেলে ভীষণ আনন্দ পায়, যেন সত্যিকারের খেলার আনন্দ আছে এতে এবং যোগাযোগের ক্ষেত্রে এটি আসলেই ভীষণ শক্তিশালী একটি মাধ্যমে পরিণত হয়েছে৷
গার্টনার-এর পূর্বানুমান বলছে, অনলাইন, মোবাইল এবং পার্সোনাল কম্পিউটারে বিশ্বব্যাপী ভিডিও গেমসের খাতে আগামী বছর ভোক্তারা ব্যয় করবেন ১০১ বিলিয়ন ডলার থেকে ১১১ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত এবং ২০১৭ সালে এই ব্যয় দাঁড়াবে ১২৮ মার্কিন ডলারে৷
ডেস্কটপ বা ল্যাপটপে এখন প্রায়ই হাই পারফর্মেন্স অনলাইন গেম খেলা হয়৷ আর এই কথা মাথায় রেখেই মাইক্রোসফট, সোনি এবং নিনটেনডো গত ২০ বছরে সবচেয়ে সফল গেমগুলো তৈরি করেছে, যেগুলোকে এক কথায় বলা হচ্ছে ‘ফ্যামিলি হাউসহোল্ড এন্টারটেনমেন্ট'৷ এই গেমগুলোর অন্যতম হলো এক্স বক্স, প্লে স্টেশন এবং উই হার্ডওয়্যার৷
কনসোল কিংস
নতুন প্রজন্মের ‘এক্স বক্স ওয়ান' এবং ‘প্লে স্টেশন ফোর' কনসোলগুলো গত বছর প্রকাশিত হয়েছে৷ বাজারে যেটি হৈ চৈ ফেলে দিয়েছে৷ স্মার্টফোন আর ট্যাবলেটগুলোতে ব্যাপক জনপ্রিয় এই গেমগুলো৷ কিন্তু নিনটেনডো-র নতুন কনসোল, উই ইউ খেলোয়াড়দের মনোযোগ তেমনভাবে আকর্ষণ করতে সমর্থ হয়নি৷ হার্ডওয়্যারে খেলার ক্ষেত্রে কনসোল কিংস অন্যতম ভালো গেম৷ আর সফটওয়্যারে অন্যতম থার্ড পার্টি স্টুডিও যেমন ব্লিজার্ড, ইলেকট্রনিক আর্টস, ইউবিসফট, ডিজনি ইন্টারঅ্যাকটিভ এবং ওয়ারনার ব্রাদারস৷
তবে যত যাই হোক মোবাইলে গেমস খেলা যে কোনো কিছুকে পেছনে ফেলে দিয়েছে৷ স্মার্টফোন অথবা ট্যাবলেটের জন্য নতুন নতুন প্রচুর গেম অ্যাপ বাজারে এসেছে, যার সংখ্যাটা বিশাল বলে জানালো গার্টনার৷
অ্যাপস অন ফায়ার
যারাই মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন, যত নতুন নতুন গেম অ্যাপস আসতে থাকে, সেগুলো ডাউনলোড করতে ব্যস্ত থাকেন তারা৷ ক্যান্ডি ক্রাশ সাগা গেম তৈরির পেছনে রয়েছে ব্রিটেনভিত্তিক কিং ডিজিটাল এন্টারটেনমেন্ট, যারা খুব শিগগিরই বাজারে ছাড়বে তাদের শেয়ার৷ কারণ এই গেমটির জনপ্রিয়তা সব গেমকে পেছনে ফেলে দিয়েছে৷ এছাড়া মোবাইল গেমের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে রোভিও, ওগা এবং সুপারসেল৷
এপিবি/এসবি (এপি, এএফপি)